২০০০ সালের ৩১ মার্চ ছিলো শুক্রবার। সেদিন বিকেলে বিটিভিতে ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার হয়েছিলো এ সিনেমার। যার নাম ‘শ্রাবণ মেঘের দিন’। একইদিনে ছবিটি প্রেক্ষাগৃহেও মুক্তি পেয়েছিলো।
এ ছবির ২০ বছর পূর্তিতে নস্টালজিক হয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন মেহের আফরোজ শাওন।।তিনি লিখেছেন, ‘আমার নাম কুসুম। বাপজান আপনারে আনসে আমার সাথে বিবাহ দেয়নের জন্য। আমারে কি আপনের পছন্দ হইসে?’
নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদ পরিচালিত এই ছবি গল্প, সংলাপ, গান, অভিনয় আর নির্মাণের মুন্সিয়ানায় জয় করে নিয়েছিলো সিনেমাপ্রেমীদের মন। দেখতে দেখতে ২০ বছর পার হয়ে গেল এ ছবির। এটি কালজয়ী সিনেমা হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে দর্শকের অন্তরে।
বিংশ শতাব্দীর শুরুর দিকে ‘শ্রাবণ মেঘের দিন’ সিনেমা দিয়ে বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে নতুন ভাবনা, নতুন মাত্রার যোগ করেছিলেন হুমায়ূন আহমেদ। এ ছবি উপহার দিয়েছিলো আরও একটি তুমুল জনপ্রিয় গান। সুবীর নন্দীর কণ্ঠে ‘একটা ছিলো সোনার কন্যা’ শিরোনামের গানটি নিমিষেই পৌঁছে যায় সারাদেশের আনাচে কানাচে। সব শ্রেণি ও বয়সের শ্রোতাদের মন জয় করা এ গানের গীতকার হুমায়ুন আহমেদ। মাহফুজ আহমেদের ঠোঁটে এ গানের অসাধারণ দৃশ্যায়ন আজও শ্রোতা-দর্শকের মন ছুঁয়ে যায়।
নিজের লেখা ‘শ্রাবণ মেঘের দিন’ উপন্যাস অবলম্বনে নুহাশ চলচ্চিত্রের ব্যানারে নির্মিত এ সিনেমার বেশ কিছু বিষয় মাইলফলক হয়ে আছে।সিনেমাটির চিত্রনাট্য রচনা ও পরিচালনায় হুমায়ূন আহমেদের সৃজনশীলতার ছাপ ছিল স্পষ্ট।অশ্লীলতা যখন বাংলা সিনেমাকে জেঁকে ধরছিলো বাংলাদেশে তখন সুস্থ রুচির বিনোদনের ধারা প্রাণ ফিরে পায় এ সিনেমাটির মাধ্যমে। মধ্যবিত্ত দর্শককে হলে ফিরিয়ে আনে ‘শ্রাবণ মেঘের দিন’। এ ছবি দিয়ে চলচ্চিত্রে যাত্রা করেন অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওন।এ ছবিতে অভিনয় করতে গিয়েই সম্পর্কে জড়িয়ে বিয়ে করেন হুমায়ুন-শাওন দম্পতি।