প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা বলেছেন, পাঁচ বছরে সফলতার পাশাপাশি কিছু ব্যর্থতাও আছে। কোনো কোনো দলের আস্থা অর্জন করা সম্ভব হয়নি। পাঁচ বছরের নির্বাচনি ব্যবস্থা নিয়ে মোটেও বিব্রত নই।
সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর নির্বাচন ভবনে বিদায়ী সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সিইসি এসব কথা বলেন।
এই সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম ও কবিতা খানম উপস্থিত থাকলেও নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার উপস্থিত ছিলেন না। আরেক নির্বাচন কমিশনার শাহাদাৎ হোসেন চৌধুরী করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ায় উপস্থিত থাকতে পারেননি।
পৌনে দুই ঘণ্টার সংবাদ সম্মেলনে নানা বিষয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন বিদায়ী সিইসি নূরুল হুদা। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরও দিয়েছেন।
কে এম নূরুল হুদা বলেন, ‘সর্বোচ্চ নিরপেক্ষ থেকে আইনানুগভাবে সব নির্বাচন শেষ করেছি। রাজনৈতিক দলগুলো সংলাপে এসেছে, সবাইকে সময় দিয়েছি। কিন্তু পরবর্তীতে তারা নির্বাচনে যাবে না, নির্বাচন করবে না, তাই সবাইকে সন্তুষ্ট করতে পারিনি, আস্থা অর্জন করতে পারিনি।’
উল্লেখ্য, সংবিধানের নির্দেশনা অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ পাঁচ বছর। সে হিসেবে ২০১৭ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি শপথ নেওয়া বর্তমান কমিশনের মেয়াদের শেষ দিন আজ।