রোববার দুপুর দেড়টায় সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ জাপানের রাজধানী টোকিওর উদ্দেশে রওনা হবেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন।
তিনি বলেন, জাপানের সম্রাটের সিংহাসন আরোহণ অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার পাশাপাশি অন্যান্য দেশের সরকার-রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন রাষ্ট্রপতি।
রয়টার্স জানিয়েছে, আগামী ২২ শে অক্টোবর টোকিওর ইমপেরিয়াল প্যালেসের ‘হল অব পাইনে’ রাজকীয় ওই আয়োজনে ১৭০টির দেশের বিভিন্ন পর্যায়ের ২ হাজার অতিথি অংশ নেবে। সম্রাট নারুহিতোর অভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার পাশাপাশি রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ সম্রাট এবং জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের দেওয়া ভোজে অংশ নেবেন। সিঙ্গাপুরে যাত্রাবিরতি শেষে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ আগামী ২৭ অক্টোবর দেশে ফিরতে পারেন বলে জানিয়েছেন প্রেস সচিব।
সম্রাট হিসেবে ৫৯ বছর বয়সী নারুহিতোর অভিষেকের মধ্যে দিয়ে জাপানে নতুন ‘রেইওয়া’ সাম্রাজ্যিক যুগ শুরু হল। রেইওয়া শব্দটির অর্থ শৃঙ্খলা ও ঐকতান। জাপানের সম্রাটের রাজনৈতিক কোনো ক্ষমতা না থাকলেও তিনি জাতীয় প্রতীক হিসেবে ভূমিকা পালন করেন।
নারুহিতো বাবা এমেরিটাস সম্রাট আকিহিতো ৮৫ বছর বয়সে গত ৩০ এপ্রিল স্বেচ্ছায় সিংহাসন ত্যাগ করেন। বয়স ও অবনতিশীল স্বাস্থ্যের কারণে সম্রাটের পদ ছাড়ার পথ বেছে নেন তিনি। আকিহিতোই প্রথম সম্রাট যিনি স্বেচ্ছায় সিংহাসন ত্যাগ করলেন।
গত ১ মে জাপানের ঐতিহাসিক ‘চন্দ্রমল্লিকা সিংহাসনে’ অভিষেক ঘটে যুবরাজ নারুহিতোর। সাদামাটাও গভীর প্রতীকী আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে অভিষেক হয় তার। নারুহিতো জাপানের ১২৬তম সম্রাট। তিনি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন এবং ২৮ বছর বয়সে সিংহাসনের উত্তরাধিকারী যুবরাজ মনোনীত হয়েছিলেন। জাপানের রাজকীয় পরিবার বিশ্বের সবচেয়ে পুরনো রাজকীয় পরিবার। জাপানি পৌরাণিক কাহিনীতে বলা হয়, যিশু খ্রিস্টের জন্মের ৬০০ বছর আগে থেকে এই রাজতন্ত্র চলছে।