বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, মানুষের ভোট ও মত প্রকাশের অধিকার হরণকারী ও জনদুর্ভোগ সৃষ্টিকারী এই সরকার পরিকল্পিতভাবে দেশে অশান্ত পরিবেশ সৃষ্টি করছে। দেশের মানুষ ও তাদের জানমালের নিরাপত্তা নেই। সরকারের বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করলেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও দলীয় সন্ত্রাসীদের লেলিয়ে দিচ্ছে। সাধারণ মানুষের ওপরও গুলি চালাতে কুণ্ঠাবোধ করছে না আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সরকার বুঝে গেছে, তাদের সময় দ্রুত ফুরিয়ে আসছে।
সোমবার (১৩ মার্চ) বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।
পঞ্চগড়ে গুলি এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের মধ্যে সংঘর্ষে অনেক মানুষ আহত হওয়ার ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে তিনি এ বিবৃতি দেন।
বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল বলেন, পঞ্চগড়ে বিনা উস্কানিতে গুলি চালিয়ে মানুষ মারা হয়েছে। সেখানে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টি করে ফায়দা লুটার চেষ্টা করছে সরকার। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সাধারণ শিক্ষার্থী ও নিরীহ মানুষের ওপর পুলিশ যেভাবে গুলি চালিয়েছে, তা সরকারের নিষ্ঠুরতার আরেকটি বহিঃপ্রকাশ। পুলিশের নির্বিচার গুলি ও হামলায় শত শিক্ষার্থী এবং সাধারণ মানুষ হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে।
‘একদিকে গুম-খুন-লুটপাট-মামলা ও নিপীড়ন চলছে, অন্যদিকে চলছে সরকারের মিথ্যাচার। তারা ক্ষমতা হারানোর ভয়ে উন্মাদ হয়ে গেছে। মন্ত্রিত্ব বাঁচাতে সরকারের মন্ত্রীরাও তাল মিলিয়ে মিথ্যাচারের প্রতিযোগিতায় নেমেছে। তাদের রুচিহীন সব বক্তব্য জনগণ কোনোভাবেই বিশ্বাস-তো করছেই না, উল্টো তা ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছে।’
ফখরুল বলেন, নিত্যপণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি, দফায় দফায় গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি, নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের দাবি আদায়; খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠায় যে গণতান্ত্রিক আন্দোলন চলছে, সে আন্দোলনে সাধারণ মানুষের ব্যাপক অংশগ্রহণ দেখে অবৈধ সরকার ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছে। সরকার বুঝে গেছে, তাদের সময় দ্রুত ফুরিয়ে আসছে। তাই নানা নাটক ঘটিয়ে জনগণের আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে নেওয়ার কূটকৌশল চালাচ্ছে।