‘সাইবার নিরাপত্তা আইন, ২০২৩’ এর খসড়া চূড়ান্ত করার আগে অংশীজনদের মতামত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক।
মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, সেপ্টেম্বর মাসের ৩ তারিখে সংসদ ডাকা হয়েছে। আইনটি যাতে সংসদে যেতে পারে, সেজন্য এটির বিষয়ে গতকাল মন্ত্রিসভার চূড়ান্ত অনুমোদন নেওয়া হয়েছে। সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে অবশ্যই অংশীজনদের ডেকে আলাপ-আলোচনা করা হবে। সেটা হবে, আপনারা আমার কাছ থেকে জানতে পারবেন। আলোচনার কথার যে কথা, সেটা আলোচনা করা হবে।
সোমবার ‘সাইবার নিরাপত্তা আইন, ২০২৩’ এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা। এর আগে, ২০১৮ সালের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের নাম পরিবর্তন করে সরকার ‘সাইবার নিরাপত্তা আইন, ২০২৩’ করা উদ্যোগ নেয়। এজন্য গত ৭ আগস্ট সাইবার নিরাপত্তা আইনের খসড়া নীতিগত অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা।
এসময় আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, অনেকগুলো ধারা যেগুলো আগে অজামিনযোগ্য ছিল, সেগুলোকে সাইবার সিকিউরিটি আইনে জামিনযোগ্য করা হয়েছে। কোনও কোনও ক্ষেত্রে শাস্তিও কমানো হয়েছে।
আইনমন্ত্রী আরও বলেছিলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অনেকগুলো ধারা, যেমন মানহানির যে ধারাটা ছিল, সেই ধারায় আগে শাস্তি ছিল কারাদণ্ড। সেই কারাদণ্ডের জায়গায় এখন জরিমানার বিধান করা হয়েছে। অর্থাৎ মানহানির একমাত্র সাজা জরিমানা। এখন জরিমানা যদি না দেওয়া হয়, তাহলে কারাদণ্ড থাকবে। সেটাও জরিমানার ওপর ভিত্তি করে তিন বা ছয় মাসের কারাদণ্ড থাকবে। কিন্তু মূল শাস্তি হচ্ছে জরিমানা। জরিমানা আগে সর্বোচ্চ ছিল ৫ লাখ টাকা, এখন তা বাড়িয়ে ২৫ লাখ টাকা করা হয়েছে।