বলিউড সুপারস্টার সালমান খান। তার বয়স এখন সাতান্ন। এখনো ‘ব্যাচেলর’ তকমা নিয়ে দাপটের সঙ্গে অভিনয় করছেন। বিটাউনে প্রায়ই তার প্রেম-বিয়ের গুঞ্জন শোনা যায়। বলা যায়—কোটি টাকার প্রশ্ন, কবে বিয়ে করছেন সালমান?
বলিউডে পা রেখে ইন্ডাস্ট্রির অনেক নামি নায়িকার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছেন সালমান খান। এ তালিকায় রয়েছেন— সোমি আলী, ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন, সঙ্গীতা বিজলানি, ক্যাটরিনা কাইফ প্রমুখ। তবে সঙ্গীতার সঙ্গে সালমানের প্রেমের সম্পর্ক পরিণয় পেতে যাচ্ছিল। কিন্তু পাকিস্তানি অভিনেত্রী সোমি আলীর কারণে ভেঙে যায় বিয়ে। ভারতের শুভঙ্কর মিশ্রাকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন সোমি আলী। এ আলাপচারিতায় এসব তথ্য জানান এই অভিনেত্রী।
সোমি আলী বলেন, ‘সালমান-সঙ্গীতার বিয়ের কার্ড ছাপানো হয়েছিল। কিন্তু সালমানকে আমার ফ্ল্যাটে হাতেনাতে ধরে ফেলে সঙ্গীতা। সেদিন সালমান সঙ্গীতার সঙ্গে যা করেছিল, পরবর্তীতে সালমান একই ঘটনা আমার সঙ্গে ঘটিয়েছিল। এটিকেই বলে কর্মফল! আমি যখন একটু বড় হলাম, তখন বিষয়টি বুঝতে পেরেছি।’
এর আগে অন্য এক সাক্ষাৎকারে পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত বলিউড অভিনেত্রী সোমি আলী বলেন, ‘আমি প্রায়ই দেখতাম সঙ্গীতা সালমানের বাড়িতে আসছে। সঙ্গীতাকে দেখলেই রেগে যেতাম। তখন আমি সালমানকে বিয়ে করার জন্য পাগল। প্রায় এক বছর পরে আমরা ডেট শুরু করি। সালমান আমার জন্যই সঙ্গীতার সঙ্গে ব্রেকআপ করেছিল। এটা অন্যায় হয়েছিল। কিন্তু আমার বয়স তখন খুবই কম ছিল। যার কারণে এতকিছু ভেবে দেখিনি।’
বেশ কিছু সিনেমায় অভিনয় করেছেন সোমি আলী। কিন্তু নায়িকা হিসেবে ক্যারিয়ার গড়া নিয়ে তার বিশেষ মাথাব্যথা ছিল না। বরং সালমান খানের কাছাকাছি আসতেই বলিউডে পা রাখেন তিনি। বিষয়টি উল্লেখ করে এই অভিনেত্রী বলেন, ‘সালমানের কাছাকাছি আসার জন্যই বলিউডে পা রাখি।’
এবারই প্রথম নয়, এর আগেও ব্যক্তিগত জীবনের নানা বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন সোমি। এর আগে সোমি আলী দাবি করেছিলেন—ঐশ্বরিয়ার কারণেই সালমানের সঙ্গে তার সম্পর্কের ভাঙন ধরে। বিষয়টি উল্লেখ করে এই অভিনেত্রী বলেন, ‘আমি আর সালমান একসঙ্গে সুন্দর সময় কাটাচ্ছিলাম। তখন ‘হাম দিল দে চুকে সনম’ সিনেমার শুটিং শুরু হয়। এই সিনেমার কারণে ঐশ্বরিয়ার সঙ্গে দেখা হয় সালমানের। এ সিনেমার কাজ শেষ না হতেই ডেট করতে শুরু করে সালমান-ঐশ্বরিয়া।
‘আন্ত’ (১৯৯৪), ‘ইয়ার গাদ্দার’ (১৯৯৪), ‘আও পেয়ার কারে’ (১৯৯৪), ‘চুপ’ (১৯৯৭) সিনেমায় অভিনয় করেছেন সোমি। তবে অভিনয় জগতকে অনেক আগেই বিদায় জানিয়েছেন। বর্তমানে ‘নো মোর টেয়ার্স’ নামে অলাভজনক একটি দাতব্য সংস্থা পরিচালনা করেন তিনি। যৌন হেনস্তা ও ধর্ষণের শিকার হওয়া নারীদের সহযোগিতা করছেন এই অভিনেত্রী।