জাহানারা বুলা।
এই মৃত্যুর কালে কে তোমাকে টেনে নিয়ে এলো
ভালোবাসতে? এখন মরণ হবে, হবে গণকবর!
একশো বছর অথবা, আরো পরে জীবাশ্ম খুঁজে নিয়ে
ভালোবাসতে হবে যে আমাকে!
কি বুঝাতে চাইলে, জৈবিক নও তুমি?
শাক আহারী?
কার্নিভোরাসের মত মাংস ছিড়ে খাও না ধারালো নখে,
ঠোঁটে দু’টোতে মিলায়ে?
হে ঐশী প্রেমের পূজারী, আমার দ্বারেই কেন?
যাও না কেন উপাসনালয়ে!
অথবা, নমস্য মেনে নাও আমায়,
ঈশ্বরী করে দাও সমস্ত ক্ষমতায়
ধ্বংস করি করোনাকে!
পয়গাম পাঠিয়ে প্রেম হয় শুনেছো কার কাছে?
আমি তো চোখ দেখে বুঝে গেছি অনন্ত পারাবার এই
পথে, হাসিতে স্বর্গের সিঁড়ি!
তুমি কেন তবে প্রেম প্রেম বলে ধিক্কার দাও বারেবারে!
সৃষ্টি বুঝি নিমিত্তে চলে?
সৃষ্টি তো শ্রষ্ঠার ওহি- “কুন”, একটি প্রচন্ড নিনাদ!
তাই, প্রেমের দোহাই নয় আর,
প্রেমের চিৎকারে সৃষ্টি হয় না কিছুই, বিক্ষিপ্ত হয় সব,
ভাবনার রাজ্যে আসে স্থবিরতা,
নিদ্রাহীন মস্তিষ্কে চাষাবাদ হয় না মঙ্গল কোনো
কিছুর।
ভালোবাসতে যদি চাও, নিরবে,
একেবারে নির্জনতায় চলে যাও সঙ্গ রোধ করে।
উপাসনায় একাগ্রতা নিয়ে টিউনিং কর হৃদয়ের তন্ত্রী।
সব স্বর মিলে যায় যদি তুমিও শিল্পি হবে বড়!
তোমার সুরের মূর্ছনায় হবে রূহের মাগফিরাত আমার,
বন্ধু!
১৫ এপ্রিল, ২০২০ ঢাকা।