সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধী দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ দলের নেতা ইমরান খান বলেছেন, সেনাপ্রধান পাকিস্তানের রাজনীতিতে সবচেয়ে শক্তিশালী ব্যক্তি এবং প্রত্যেকেই তার সিদ্ধান্ত মেনে চলে। শুক্রবার জামান পার্কের বাসভবনে দলের সমর্থকদের উদ্দেশে তিনি এ কথা বলেছেন।
ইমরান খান অভিযোগ করেন, তিনি যেন ক্ষমতায় ফিরে না আসেন তা নিশ্চিত করার জন্য দেশের ‘দুর্নীতিগ্রস্ত মাফিয়াদের’ পাশে রয়েছে সামরিক বাহিনী।
তিনি বলেনছেন, ‘পাকিস্তানের রাজনীতিতে সেনাপ্রধান হলেন সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তি। সবাই তার সিদ্ধান্ত মেনে চলে। সামরিক সংস্থা দুর্নীতিগ্রস্ত মাফিয়া – শরিফ ও জারদারিদের পাশে দাঁড়াচ্ছে – শুধুমাত্র এটা নিশ্চিত করার জন্য যে আমি যেন ক্ষমতায় ফিরে যেতে না পারি।’
ক্ষমতাসীন জোট সরকার পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতির ক্ষমতা খর্ব করতে গত সপ্তাহে একটি বিল পাস করেছে পার্লামেন্টে। বিলটিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে পিটিশনও করা হয়েছে। তবে এই পিটিশনের শুনানি নিয়ে দুই ভাগ হয়ে পড়েছে সর্বোচ্চ আদালত।
সুপ্রিম কোর্টের এই বিভাজন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে ইমরান বলেছেন, এটা হবে দেশের জন্য অনেক বড় দুর্ভাগ্য।
তিনি বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্টে বিভাজন একটি বড় দুর্ভাগ্য হবে। আমি জাতির কাছে এমন একটি সময়ে সর্বোচ্চ আদালতের পাশে দাঁড়ানোর জন্য আবেদন করছি যখন এই আমদানি করা সরকার একে অসম্মান করার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা চালাচ্ছে।’