রাশিয়ার সামরিক বাহিনীতে নাগরিকদের নিয়োগের বয়সসীমা বাড়ানো হচ্ছে। ইউক্রেনের বিরুদ্ধে লড়াই জোরদার করতে সেনা সংখ্যা বাড়াতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে শুক্রবার জানিয়েছে রয়টার্স।
পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ স্টেট ডুমার ওয়েবসাইটে জানানো হয়েছে, এই পদক্ষেপ সেনাবাহিনীকে বয়স্ক পেশাদারদের দক্ষতা কাজে লাগাতে সাহায্য করবে।
এতে বলা হয়েছে, ‘অত্যন্ত নির্ভুল অস্ত্রের ব্যবহার, অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম পরিচালনার জন্য পেশাদার বিশেষজ্ঞ প্রয়োজন। অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে, তারা ৪০ থেকে ৪৫ বছর বয়সে এমন হন।’
বর্তমানে রাশিয়ায় সেনাবাহিনীতে যোগদানের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৪০ বছর এবং সর্বোচ্চ ৩০ বছর বয়সী বিদেশিরা সামরিক বাহিনীর সাথে প্রথম চুক্তি করতে পারবে।
৮৬ দিনের ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়া বিশাল বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে এবং দেশটির সেনা সদস্য ও সরঞ্জামের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়তে অবশ্য ইউক্রেন তাদের সব পুরুষ নাগরিককে কাজে লাগাচ্ছে।
অবসরপ্রাপ্ত মার্কিন জেনারেল বেন হজেস বলেন, ‘স্পষ্টতই, রাশিয়ানরা সমস্যায় পড়েছে। এটি তাদের জনসংখ্যাকে সতর্ক না করে জনবলের ঘাটতি মোকাবেলার সর্বশেষ প্রয়াস। কিন্তু ক্রেমলিনের জন্য ইউক্রেনে তাদের ব্যর্থতা ঢাকা ক্রমেই কঠিন হয়ে উঠছে।’