মার্কিন কংগ্রেসে আফগানিস্তান নিয়ে মুখ খুললেন দুই সেনা জেনারেল। তাদের বয়ান অস্বস্তিতে ফেলেছে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে।
বুধবার (২৯ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো বলছে, মার্কিন কংগ্রেসের সেনেটে আফগানিস্তান নিয়ে তিন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির বক্তব্য রেকর্ড করা হচ্ছে। আফগানিস্তান নিয়ে তারা প্রেসিডেন্টকে কী বলেছিলেন, বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে তারা কী ভাবছেন, এই সমস্ত প্রশ্নই তাদের করা হয়।
সেনেটের আর্মড সার্ভিসেস কমিটির সামনে তাদের বলতে বলা হয়। সেনেটররা তাদের প্রশ্নও করেন। তেমনই এক প্রশ্নের জবাবে ম্যাকেঞ্জি জানান, সেনার পক্ষ থেকে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে বলা হয়েছিল, আফগানিস্তানে আড়াই হাজার সেনা মোতায়েন রাখতে। তাদের সরাতে না। কিন্তু বাইডেন তাতে রাজি হননি।
এক প্রশ্নের জবাবে ম্যাকেঞ্জি জানান, সেনার পক্ষ থেকে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে বলা হয়েছিল, আফগানিস্তানে আড়াই হাজার সেনা মোতায়েন রাখতে। তাদের সরাতে না। কিন্তু বাইডেন তাতে রাজি হননি।
জার্মাানভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম ডয়চে ভেলে জানায়, সংবাদমাধ্যমের হাতে এ খবর অনেক আগেই পৌঁছে গিয়েছিল। আগস্ট মাসেই এবিসি নিউজ বাইডেনের সাক্ষাৎকার নিয়েছিল। সেখানে তাকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল। বাইডেন জানিয়েছিলেন, এমন কোনো ঘটনা তিনি জানেন না। কিন্তু সেনেটে সেনা জেনারেল ফের একই কথা বলায় সমস্যায় পড়েছেন বাইডেন।
মিলি জানান, ম্যাকেঞ্জির কাছ থেকে প্রস্তাব আসার পরে তিনিও এ বিষয়ে বাইডেনের সঙ্গে কথা বলেন। কিন্তু প্রেসিডেন্ট রাজি হননি।
এর কিছুক্ষণের মধ্যেই অবশ্য হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র একটি বিবৃতি দেন। সেখানে বলা হয়, সেনা প্রস্তাব দিলেই যে প্রেসিডেন্টকে মানতে হবে, এমন কোনো কথা নেই। প্রেসিডেন্ট নিজের ক্ষমতা প্রয়োগ করেছেন। কিন্তু তারপরেও বিরোধীদের থামানো যায়নি।
আফগানিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন দুই জেনারেল। তারা জানিয়েছেন, যত দ্রুত তালেবান ক্ষমতা দখল করেছে, তা তারা কল্পনা করতে পারেননি। তারা ভেবেছিলেন, আফগান সেনা প্রতিরোধ তৈরি করতে পারবে। তবে শেষ পর্যন্ত যে তালেবান ক্ষমতা দখল করবে, তা তারা বুঝতে পেরেছিলেন। তাদের বক্তব্য, আফগানিস্তানে আল কায়দা এখন যথেষ্ট শক্তিশালী। আইএস এবং আল কায়দার সঙ্গে তালেবানের প্রত্যক্ষ যোগাযোগ আছে।
আগামী ১২ থেকে ৩৬ মাসের মধ্যে ফের আফগানিস্তানের মাটি ব্যবহার করে সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলো অ্যামেরিকার ওপর আক্রমণ চালাতে পারে বলে তারা জানিয়েছেন।
সূত্র: বিবিসি, ডয়চে ভেলে, রয়টার্স