তাহমিনা শহীদ, নিউ ইয়র্ক
দুটো ভ্যাকসিন গ্রহণের আজ দুইমাস পূর্তি হলো।এখন নাকি করোনা আক্রান্ত হলেও, মারা যাবার ভয় নেই তবু, আগের মতই মুখোশের আড়ালে অন্তত ২০২২ সন পর্যন্ত থাকতে হবে, তবে বাকি জীবন কাটাতে হবে কী না, এখনো জানা যায়নি, তাই মনে, মনে আত্মহারা হবার মতন কোন অনুভুতিও টের পাচ্ছি না, এমন কি, মন থেকে করোনা ভীতিও উবে যায়নি বিন্দু পরিমাণ।
ইতিমধ্যে গত সপ্তাহ জুড়ে প্রচন্ড গলা ব্যাথায় ভুগেছি এবং অবশ্যই তা অনিয়ম করবার দোষে ঠান্ডা লাগিয়ে।কিন্ত কভিডের আগের ঠান্ডা জ্বর আর কভিড সময়ের গলা ব্যাথা আর জ্বর, জ্বর ভাবের সংজ্ঞাটি এক নয়, তা তোমরা ভালো করেই জানো।তাই গত পড়শু ভয়ে ভয়ে, দুরু দুরু বক্ষে আর্জেন্ট কেয়ারে গিয়ে ধর্ণা দিতে হলো!
চায়নিজ ডাক্তার গলা পরীক্ষা করে, একটু পরেই ফলাফল জানিয়ে আশ্বস্ত করলেন, টনসিলের ব্যাথা ছাড়া ঐ ব্যাথার আর কোন ভয়াবহ কারণ নাই।অত:পর, দুই ডোজ ভ্যাকসিন নেবার মেয়াদ, দুইমাস হয়ে গেছে শুনেও, নাকে গুনে গুনে সাত ইন্চি পরিমান কাঠি ঢুকিয়ে, আমার চেখে জল গড়িয়ে, মহাসমারোহে কভিড পরীক্ষা না করে, ছাড়লো না!
এতোসব কথার অবতাড়না শুধু, এই কথাটিই বুঝাবার জন্য যে, দুই ডোজ ভ্যাকসিন নিয়ে আত্মতৃপ্তির কোন সুযোগ নাই। আমরা যে ‘করোনা যুগে’ প্রবেশ করেছি, এই যুগটি থেকে বেরোনো খুব সহজ সাধ্য হবে না হয়তো।কে জানে, করোনা ‘পূর্ব-জীবন’ হয়তোবা আমাদের স্মৃতি রোমন্থনের একটি অনুসংজ্ঞ হয়েই থেকে যাবে, সংগে, এখন থেকে হয়তো বিভিন্ন ডে উদযাপনের তালিকায় ‘ভ্যাকসিন ডে’টিও আমরা ঘটা করে পালন করবো!