ঘণ্টায় ১৪৫ কিলোমিটার বাতাসের বেগ নিয়ে হংকংয়ে আঘাত হানতে যাচ্ছে ঘূর্ণিঝড় ‘কেইনু’। রোববার (৮ অক্টোবর) হংকংয়ের আবহাওয়া অফিস ঘূর্ণিঝড়ের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সতর্কতা সংকেত ‘টি৯’ জারি করেছে।
মাত্র এক মাস আগেই হংকংয়ে ঘূর্ণিঝড় ‘সাওলা’ আঘাত হেনেছিল। সেসময় ঘূর্ণিঝড়ের সর্বোচ্চ সতর্কতা সংকেত ‘টি১০’ জারি করা হয়েছিল। ‘সাওলা’র আঘাতে হংকং শহরে ১৪০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছিল। শহরের সাবওয়ে স্টেশন ও ভবনে পানিতে ঢুকে পড়ার পাশাপাশি ব্যাপক ভূমিধস হয়।
এদিকে, রোববার হংকংয়ের আবহাওয়া অফিস ঘূর্ণিঝড় ‘কেইনু’র প্রভাবে তীব্র ঝড়-বৃষ্টি হতে পারে বলে জনসাধারণকে সতর্ক করেছে। ঘূর্ণিঝড় ‘কোইনু’ বর্তমানে পার্ল নদীর দিকে রয়েছে। স্থানীয় সময় মধ্যরাতের আগেই শহরের দক্ষিণের ৭০ কিলোমিটার কাছাকাছি এলাকায় এটি আঘাত হানতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
রোববার দিনের বেশিরভাগ সময় হংকংয়ে ‘টি৮’ সতর্কতা জারি ছিল। ঘূর্ণিঝড়ে বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১১৭ কিলোমিটার। তবে বর্তমানে বাতাসের গতি ঘণ্টায় ১৪৫ কিলোমিটার বলে জানানো হয়েছে। হংকংয়ের আবহাওয়া অফিস স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টায় সতর্কতার মাত্রা ‘টি৯’ এ উন্নীত করেছে।
আবহাওয়া দপ্তর এক বিবৃতিতে বাসিন্দাদের ঘরে বাইরে বের না হওয়ার পরামর্শ দিযেছে। তাদেরকে আশ্রয়ের জন্য নিরাপদ স্থানে যাওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বিকেল থেকে সব স্কুল, ডে কেয়ার সেন্টার, কার্গো টার্মিনাল, ফেরি ও বাস চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। ঝড়ের কারণে সারাদিনে প্রায় ৯০টি ফ্লাইট বাতিল এবং ১৩০টি ফ্লাইট বিলম্বিত হয়েছে বলে জানিয়েছে হংকং বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।
হংকংয়ের দিকে যাওয়ার আগে ঘূর্ণিঝড় ‘কোইনু’ তাইওয়ানের কাছাকাছি ছিল। এর প্রভাবে অর্কিড দ্বীপে মুষলধারে বৃষ্টি এবং রেকর্ড ঝড়ো বাতাস বয়ে যায়। ঝড়ের প্রভাবে অকির্ড দ্বীপে একজনের মৃত্যু হয়েছে এবং কয়েক হাজার বাড়ির বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়।