কাতার বিশ্বকাপে দক্ষিণ আমেরিকান অঞ্চলের বাছাই পর্বে জয়ে ফিরল আর্জেন্টিনা। বুধবার পেরুকে ২-০ গোলে হারিয়েছে লিওনেল মেসিরা। দলের হয়ে একটি করে গোল করেন নিকোলাস গনজালেস ও লওটারো মার্টিনেজ। এর আগের ম্যাচে ঘরের মাঠে পয়েন্ট ভাগাভাগি করেছিল তারা।
২০০৪ সালের সেপ্টেম্বরের পর প্রথম পেরুর মাঠে জিতল আর্জেন্টিনা। এর আগে তিনবারের দেখায় তিনবারই ড্র করে আর্জেন্টিনা। বাছাই পর্বে চার ম্যাচে তিন জয় নিয়ে আর্জেন্টিনা রয়েছে পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে। চার ম্যাচের চারটি জিতে ব্রাজিলের অবস্থান শীর্ষে। বুধবার আরেক ম্যাচে ব্রাজিল সমান ব্যবধানে হারিয়েছে উরুগুয়েকে।
প্রতিপক্ষের মাঠে শুরু থেকেই দাপট দেখায় আর্জেন্টিনা। বারবার আক্রমণে গোলের সুযোগ তৈরি করছিল অতিথিরা। সেজন্য গোল পেতে বেশি সময় অপেক্ষা করতে হয়নি। ১৭ মিনিটে জিওভানি লো সেলসোর ক্রস থেকে ডি বক্সের ভেতরে বল পান নিকোলাস গনজাসেল। আলতো টোকায় রক্ষণের এক খেলোয়াড়কে কাটিয়ে বামপায়ে শট নিয়ে পেরুর জালের পাঠান গনজালেস।
১১ মিনিট পর ব্যবধান দ্বিগুণ করেন মার্টিনিজ। মধ্যমাঠ থেকে লেনার্ডো পেরেডেসের বানিয়ে দেওয়া বল নিয়ে ডি বক্সে ঢুকেন মার্টিনিজে। গোল রক্ষক এগিয়ে এসে বল ধরতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তাকে ড্রিবলিং করে বল নিয়ে আরো ভেতরে ঢুকেন ফরোয়ার্ড। এরপর বামপায়ের শটে বল পাঠান জালে।
ম্যাচের শুরুতেই দুই গোলের লিড পেয়ে যাওয়ায় আর্জেন্টিনা বাকিটা পথ স্বস্তিতে কাটিয়ে দেয়। মধ্যমাঠে মেসি ছিলেন বল বানিয়ে দেওয়ার ভূমিকায়। সতীর্থদের একাধিক বল পাস করছিলেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। একাধিক সুযোগও তৈরি হয়েছিল। ফরোয়ার্ডরা ফিনিশিং করতে পারলে জয়ের ব্যবধান বাড়ত। মেসি নিজেও সুযোগ সৃষ্টি করেছিলেন। ৩৮ মিনিটে তার বাঁকানো শট একটুর জন্য লক্ষ্যে থাকেনি। ৭৪ মিনিটে মেসির শট দারুণ দক্ষতায় ফিরিয়েছেন গোলরক্ষক।
ঘরের মাঠে পেরু প্রথমার্ধে লড়াই করতে না পারলেও দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে অতিথিদের চেপে ধরেছিল। ৫৩ ও ৫৬ মিনিটে দুইটি গোল প্রায় হয়েই গিয়েছিল। কিন্তু ভাগ্যদেবীকে পাশে না পাওয়ায় গোলের মুখ দেখা হয়নি স্বাগতিকদের।