বাংলাদেশে আর ২০১৮ সালের মতো নির্বাচন হবে না বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সংলাপে এ কথা জানান তিনি।
সিইসি বলেছেন, ‘২০১৮ সালের যে নির্বাচনের কথা বলেছেন; না, ওটা কীভাবে হয়। ওইভাবে নির্বাচন হবে, এটি আপনারা আশা করেন না। আমরা সেটি জানিও না, দেখিওনি। নির্বাচন নির্বাচনের আইন অনুযায়ী হবে। সময় দেওয়া হবে। ভোটাররা যাবেন। ভোট দিতে থাকবেন। একটা সময় নির্বাচন বন্ধ হয়ে যাবে।’
নির্বাচনে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, ‘লাঠি দিয়ে, হকিস্টিক দিয়ে ইভিএম মেশিনটা ভেঙে ফেলতে পারবেন, কিন্তু এখানে ভোটের নড়চড় হবে না।’
রাজনৈতিক দলগুলোকে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ওপর আস্থা রাখার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেছেন, ‘আমরা যে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, তার কিছু মূল্য থাকা উচিত। একেবারে যে আমরা ডিগবাজি খেয়ে যাব, তা তো নয়। আমাদের ওপর একটু আস্থা রাখুন। তবে, আস্থা রাখতে গিয়ে চোখ বন্ধ করে রাখলে হবে না।’
ইসিকে নজরদারিতে রাখার পরামর্শ দিয়ে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘আপনাদের নজরদারি থাকতে হবে। আমরা কি আসলেই সাধু পুরুষ, না ভেতরে-ভেতরে অসাধু, সেই জিনিসটা যদি আপনারা নজরদারিতে না রাখেন, তাহলে আপনারাও দায়িত্ব পালন করলেন না। কঠোর নজরদারিতে আমাদেরকে (ইসি) রাখতে হবে।’
কোনো অভিযোগ পেলে তা ইসিকে জানানোর পরামর্শ দিয়েছেন সিইসি। তিনি বলেন, ‘আপনারা আমাদের অবশ্যই চাপে রাখবেন। আমি বিশ্বাস করি, এটার প্রয়োজন আছে। আমাদের কোনো অনিয়ম লক্ষ করলে তা প্রকাশ করে দেবেন। আমরা কোনোভাবেই পক্ষপাতিত্ব করতে চাই না।’
নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত ৩৯টি রাজনৈতিক দলকে সংলাপে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। ৩১ জুলাই আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংলাপের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এ কার্যক্রম।