সবশেষ জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ায় আয়োজিত ২০০২ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল খেলেছিল সেনেগাল। এর পরের তিন আসরে আর তারা অংশ নেওয়ার যোগ্যতাই অর্জন করতে পারেনি।
এরপর ২০১৮ বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পেলেও বিদায় নিয়েছিল গ্রুপপর্ব থেকেই। কাতার বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ভালো খেলেও ২-০ গোলে হেরে যায় তারা। তবে পরের ম্যাচেই কাতারকে ৩-১ গোলে হারিয়ে আশা জাগায় নকআউট পর্বের।
সেক্ষেত্রে আজ মঙ্গলবার গ্রুপপর্বের শেষ ম্যাচে ইকুয়েডরকে হারাতেই হতো। অন্যদিকে সেনেগালের সঙ্গে কোনোক্রমে ড্র করতে পারলেই হতো ইকুয়েডরের। এমন সমীকরণের ম্যাচে দারুণভাবে সমীকরণ মেলালো তেরাঙ্গার লায়ন্সরা। ইকুয়েডরকে ২-১ গোলে হারিয়ে ২০ বছর পর জায়গা করে নিয়েছে বিশ্বকাপের শেষ ষোলোতে।
এই জয়ে ৩ ম্যাচ থেকে ৬ পয়েন্ট সংগ্রহ করে গ্রুপ রানার্স-আপ হয়ে নকআউট পর্বে উঠেছে সেনেগাল। অন্যদিকে ৩ ম্যাচ থেকে ৭ পয়েন্ট সংগ্রহ করে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে নেদারল্যান্ডস।
ইকুয়েডরের বিপক্ষে এদিন শুরু থেকেই মুহুর্মুহ আক্রমণ শানাচ্ছিল সেনেগাল। কিন্তু জালের নাগাল পাচ্ছিল না। কিন্তু প্রথমার্ধের শেষ দিকে এগিয়ে যায় তারা। ম্যাচের ৪২ মিনিটের সময় পেনাল্টি পায় আফ্রিকান চ্যাম্পিয়নরা। এ সময় সেনেগালের ইসমাইলা সারকে ডি বক্সের মধ্যে ফাউল করেন ইকুয়েডরের পিয়েরো হিনকাপি। রেফারি পেনাল্টির বাঁশি বাজান। পেনাল্টি থেকে ইসমাইলা গোল করে এগিয়ে নেন দলকে। তার করা গোলে এগিয়ে থেকেই প্রথমার্ধের খেলা শেষ করে তেরাঙ্গার লায়নরা।
বিরতির পর ৬৭ মিনিটে সমতা ফেরায় ইকুয়েডর। এ সময় কর্নার পায় তারা। কর্নার থেকে আসা বলে খুব কাছ থেকে শট নিয়ে জালে জড়ান মোয়েসেস ক্যাসেডো। তবে বেশিক্ষণ এই সমতা বহাল থাকেনি। ম্যাচের ৭০ মিনিটে অধিনায়ক কালিদু কৌলিবালি গোল করে এগিয়ে নেন সেনেগালকে।
এ সময় ফ্রি কিক পায় সেনেগাল। ফ্রি কিক থেকে আসা বল ইকুয়েডরের রক্ষণভাগের এক খেলোয়াড়ের গায়ে লেগে চলে যায় ডানদিকে। সেখানে থাকা আনমার্ক কৌলিবালি ডান পায়ের শটে জালে পাঠান। তাতে আবার এগিয়ে যায় আফ্রিকান লায়নরা। শেষ পর্যন্ত কৌলিবালির গোলটিই ভাগ্য বদলে দেয় ম্যাচের। ২-১ ব্যবধানের দারুণ জয়ে ইকুয়েডরকে বিদায় করে দিয়ে শেষ ষোলোর টিকিট নিশ্চিত করে আলিউ সিসের শিষ্যরা।
নকআউট পর্বে সেনেগাল খেলবে ‘বি’ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন দলের বিপক্ষে। ম্যাচটি আগামী ৪ ডিসেম্বর দিবাগত রাত ১টায় অনুষ্ঠিত হবে।