পাকিস্তানে বর্তমানে আন্তঃব্যাংক বাজারে এক ডলার কিনতে গুনতে হচ্ছে ২১০ রুপিরও বেশি। অবশ্য খোলাবাজারে এই হার আরো বেশি। ইতিহাসে এর আগে কখনো পাকিস্তানের মুদ্রার মান এতোটা নিচে নামেনি।
সোমবার (২০ জুন) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তান ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম ডন।
ফরেক্স অ্যাসোসিয়েশন অব পাকিস্তান (এফএপি) তথ্য মতে, শুক্রবার এক ডলারের বিপরীতে পাকিস্তানি মুদ্রার দাম ছিল ২০৭.৭৫ রুপি। এরপর সোমবার সকালে রুপির মান ২.৫৫ রুপি কমে ২১০.৩০ রুপিতে পৌঁছায়। তবে একই দিন দুপুর ২টার দিকে পাকিস্তানের খোলাবাজারে ডলার বিক্রি হচ্ছিল ২১৪ রুপিতে।
মেটিস গ্লোবালের পরিচালক সাঈদ বিন নাসির বলেন, পাকিস্তানের ব্যাংকগুলো ডলারের সঙ্কটে রয়েছে এমন খবর ছড়িয়ে পড়লে ডলারের দাম বাড়তে শুরু করে। সপ্তাহের শুরুতেই তাই ডলারের বিপরীতে পাকিস্তানি রুপির দাম বাড়তে শুরু করে।
এএ কমোডিটিসের পরিচালক আদনান আগর জিও নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, পাকিস্তান আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সঙ্গে স্টাফ-লেভেল চুক্তি না করা পর্যন্ত রুপির পতন অব্যাহত থাকবে।
সাঈদ বিন নাসির বলেন, ‘ব্যাংকগুলোতে ডলারের ঘাটতি রয়েছে এবং দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভও কমে যাচ্ছে। এতে করে ডলারের বিপরীতে রুপির মানে নেতিবাচক ধারা অব্যাহত রয়েছে।’
এক্সচেঞ্জ কোম্পানিজ অ্যাসোসিয়েশন অব পাকিস্তানের জেনারেল সেক্রেটারি জাফর পরচা বলছেন, মুদ্রা বাজার মারাত্মক দুরবস্থার মধ্যে থাকলেও পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষকে এ সম্পর্কে উদাসীন দেখাচ্ছে।
তিনি মনে করেন, রুপির দর হারানোর প্রবণতা অব্যাহত থাকলে পাকিস্তানের পরিস্থিতি শ্রীলঙ্কার মতো হতে পারে। দ্রুত পদক্ষেপন না নিলে পাকিস্তান খেলাপি হয়ে উঠতে পারে।