গত এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ টর্নেডোর আঘাত সইতে হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রকে।
শুক্রবার রাত থেকে নিয়ে শনিবার পর্যন্ত দেশটির ছয়টি অঙ্গরাজ্যে অন্তত ৩০টি টর্নেডো আঘাত হেনেছিল। সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, টর্নেডোর আঘাতে অন্তত ৮৪ জন নিহত হয়েছে।
রাজ্য ও স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নিহতদের মধ্যে অন্তত ৭০ জন কেন্টাকির। এছাড়া আরকানসাসে দু’জন, টেনিসিতে চার জন, ইলিনয়সে ছয় জন ও মিসৌরিতে দু’জন নিহত হয়েছে।
রয়টার্স জানিয়েছে, টর্নেডোগুলো মধ্য ও দক্ষিণাঞ্চলে যাত্রাপথের ২০০ মাইলের মধ্যে বাড়িঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন অবকাঠামো নিশ্চিহ্ন করে দিয়ে গেছে। কেন্টাকির একটি ছোট শহরের মোমবাতি কারখানা, অগ্নিনির্বাপন ও পুলিশ স্টেশন পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। ধ্বংসস্তুপে আটকে পড়া মানুষদের উদ্ধারের আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন উদ্ধারকারীরা।
আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, শীত মৌসুমে এ ধরনের শক্তিশালী একাধিক টর্নেডোর আঘাতা হানা অস্বাভাবিক। প্রতিবেশী রাজ্য মিসৌরির একটি নার্সিংহোম উড়িয়ে নিয়ে গেছে টর্নেডো।
স্টর্ম-চেজার ব্র্যান্ডন ক্লিমেন্টের পোস্ট করা ড্রোন ফুটেজে দেখা মেফিল্ড শহরটিকে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে গেছে টর্নেডো। এই শহরের প্রায় কোনোকিছুই উদ্ধারযোগ্য নয়; বাড়িগুলোর দেয়াল মাটির সঙ্গে মিশে গেছে, গাছের গুঁড়ি উল্টে পড়ে রয়েছে, মাঠের মধ্যে গাড়ি উল্টে পড়ে রয়েছে। কর্মকর্তারা শহরটিকে ‘গ্রাউন্ড জিরো’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।
এদিকে আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, রোববার আবহাওয়ার মাত্রা আরও তীব্র হতে পারে। টর্নেডো পূর্বাঞ্চলের দিকে সরে গেছে। ওয়েস্টার্ন নিউ ইয়র্কে ঘণ্টায় ৫০ থেকে ৭০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বইছে বলে সর্বশেষ জানা গেছে। বাতাসের গতিবেগ আরও তীব্র হতে পারে।
নিউ ইয়র্কের গভর্নর ক্যাথি হোচুল ইতোমধ্যে ওই অঞ্চলে বিপর্যয় মোকাবিলা টিম মোতায়েন করেছেন।