রাফাহ ক্রসিং দিয়ে ৭ হাজার বিদেশি ও দ্বৈত নাগরিকত্বের ফিলিস্তিনিদের গাজা ছাড়তে সহায়তা করবে মিশর। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিদেশি কূটনীতিকদের সঙ্গে এক বৈঠক শেষে মিশরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসমাইল খাইরাত বলেন, ‘রাফাহ ক্রসিং দিয়ে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা থেকে ৬০টি দেশের প্রায় ৭ হাজার বিদেশি নাগরিকদের সরিয়ে নিতে মিশর প্রস্তুতি নিচ্ছে।’
আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ শুরুর তিন সপ্তাহেরও বেশি সময় পর গতকাল বুধবার প্রথমবারের মতো বেসামরিক নাগরিকদের জন্য রাফাহ ক্রসিং খুলে দেয় মিশর।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সমন্বয় করে কাতারের মধ্যস্থতায় গাজা ও মিসরের মধ্যকার একমাত্র সীমান্ত পারাপার পয়েন্ট ‘রাফাহ ক্রসিং’ খুলতে রাজি হয় মিশর। এর পরপরই গাজা ছেড়েছেন চার শতাধিক মানুষ।
ফিলিস্তিনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত রাফাহ ক্রসিং পার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ৩৩৫ জন বিদেশি পাসপোর্টধারী রয়েছেন। এ ছাড়া ৭৬ জন আহত ফিলিস্তিনি রাফাহ ক্রসিং পার হয়েছেন।
রাফাহ ক্রসিং খুলে দেওয়ার পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন বিশ্বনেতারা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, ব্যাপক ও জরুরি কূটনৈতিক প্রচেষ্টার ফল এই ক্রসিং খুলে দেওয়া।
কর্মকর্তাদের তথ্যমতে, রাফাহ ক্রসিং পার হওয়া বিদেশিদের মধ্যে অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের পাসপোর্টধারী ব্যক্তিরা আছেন।
আন্তর্জাতিক চিকিৎসা-মানবিক সংস্থা ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস (এমএসএফ) জানিয়েছে, তাদের ২২ জন কর্মী গাজা ত্যাগ করতে সক্ষম হয়েছেন।
রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, বুধবার (১ নভেম্বর) কাতারের মধ্যস্থতায় মিশর, ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের মধ্যে রাফাহ ক্রসিং খুলে দেয়ার চুক্তি হয়। চুক্তি মোতাবেক, গাজা থেকে পাসপোর্টধারী বিদেশি নাগরিক ও গুরুতর আহত গাজাবাসী রাফাহ ক্রসিং ব্যবহার করে গাজা ছাড়তে পারবেন। তবে কতদিনের জন্য ক্রসিংটি খোলা থাকবে, এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি।
বর্তমানে এই সীমান্ত দিয়েই আন্তজার্তিক সংস্থাগুলোর ত্রাণবাহী ট্রাক অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় প্রবেশ করে থাকে।