ইউরো ২০২০-এ রোমাঞ্চকর এক লড়াই উপহার দিলো স্পেন ও ক্রোয়েশিয়া। ডেনমার্কের পার্কেন স্টেডিয়াম দেখলো ৮ গোলের থ্রিলার। পিছিয়ে থেকেও দুর্দান্তভাবে কামব্যাক করেছিল ক্রোয়েশিয়া। নির্ধারিত ৯০ মিনিট ৩-৩ গোলে সমতায় শেষ হলে ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। অতিরিক্ত সময়ে আলভারো মোরাতা এবং মাইকেল অয়ারজাবালের দুই গোলে ৫-৩ ব্যবধানে রোমাঞ্চকর ম্যাচটি নিজেদের করে নেয় স্পেন। ইউরোর ইতিহাসে প্রথম দল হিসেবে টানা দ্বিতীয় ম্যাচে পাঁচ গোলের কীর্তি গড়লো তারা। তাতেই ক্রোয়েট বাধা টপকে কোয়ার্টারের টিকিট কাটে লুইস এনরিকের দল।
ম্যাচের শুরু থেকেই ক্রোয়েটদের চাপে রেখে খেলতে থাকে স্পেন। কিন্তু খেলার ২০ মিনিটে স্পেন গোলকিপার উনাই সিমন মহাভুল করে বসেন। মাঝমাঠ থেকে ব্যাকপাস করেছিলেন পেদ্রি। বল পা দিয়ে ধরতে গিয়ে বিপদ ডেকে আনেন স্পেনের গোলরক্ষক। বল নিয়ন্ত্রণে রাখতে না পারায় তা চলে যায় গোলে।
এরপর ক্রোয়েটের রক্ষণভাগে চাপে রেখে ৩৮ মিনিটে সারাবিয়ার গোলে সমতা ফেরায় স্পেন। পরে ৫৭তম মিনিটে সেজার আসপিলিকুয়েতা ও ৭৭তম মিনিটে ফেরান তোরেসের গোলে ৩–১ গোলে এগিয়ে যায় ইউরোর তিনবারের চ্যাম্পিয়নরা।
ম্যাচের এই সময়টাতে কে ভেবেছিলো ক্রোয়েশিয়া সমতা ফিরিয়ে আনবে। কিন্তু শেষ সময়ে স্পেনকে বোকা বানিয়ে ম্যাচের ৮৫ মিনিটে ক্রোয়েশিয়ার হয়ে দ্বিতীয় গোলটা করেন মিসলাভ অরিসিচ। ৯২ মিনিটে ক্রোয়েশিয়ার হয়ে তৃতীয় গোলটা করেন মারিও প্যালিসিচ। এই মিডফিল্ডারের গোলেই গোটা ম্যাচের চিত্র বদলে যায়। ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে।
কিন্তু এবার আর ছাড় দেয়নি স্প্যানিশরা। প্রথমার্ধেই তিন মিনিটের ব্যবধানে দুটি গোল করে জয় নিশ্চিত করে ফেলে দলটি। ১০০ মিনিটে গোল করেন মোরাতা। ৪-৩ ব্যবধানে এগিয়ে যায় স্পেন। ১০৩ মিনিটে দলকে ৫-৩ ব্যবধানে এগিয়ে দেন মাইকেল অয়ারজাবাল। এরপর আর উঠে দাঁড়াতে পারেনি ক্রোয়েশিয়া। এই পরাজয়ের সঙ্গে সঙ্গেই চলতি ইউরো থেকে ছিটকে গেল মদরিচরা। অন্যদিকে কোয়ার্টার ফাইনালে চলে গেলেন মোরাতারা।