রেমিট্যান্সের ওপর দেওয়া প্রণোদনা বাড়ানোর কোনো পরিকল্পনা আপতত নেই বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি বলেন, এটা অপরিবর্তীত থাকবে। সবাই সমান হারেই প্রণোদনা পাবেন। এছাড়াও শেয়ারবাজারে অপ্রদর্শিত অর্থ বৈধ করার পর তা বিনিয়োগ হতে পারে।
বুধবার (৪ আগস্ট) ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ভার্চুয়াল সভা শেষে প্রেস বিফ্রিংয়ে এমন কথা বলেন মন্ত্রী।
করোনা মহামারির মধ্যেও অত্যাধিক রেমিট্যান্স প্রবাহ নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। এছাড়াও রেমিট্যান্স প্রবাহ নিয়ে নানা প্রশ্ন তুলেছে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। একই সঙ্গে রেমিট্যান্সে ২ শতাংশ প্রণোদনার বিষয়ে ভাবতে পরামর্শ দিয়েছে সংস্থাটি।
এ প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠানোর ক্ষেত্রে ২ শতাংশ হারে নগদ প্রণোদনা অব্যাহত থাকবে। এ বিষয়ে কম বেশি হবে না। এটা আর বাড়ানো হবে না।’
তিনি বলেন, ‘রেমিট্যান্স কিছুটা কমেছে। গত বছর একই সময়ে বেশি ছিল। গত মাসে তুলনামূলকভাবে কিছুটা কমেছে। তবে এই সমস্যা কেটে যাবে। লকডাউনের কারণে রপ্তানি কমেছে। সেই পরিমাণে উৎপাদন আমরা করতে পারছি না। আমরা কাভার করার চেষ্টা করবো সামনের দিনগুলো ভালো হলে। আমাদের গ্যাপগুলো পূরণ করবো। করোনার বিষয়টি একমাত্র মুখ্য বিষয়। ভ্যাকসিন দেওয়াই এখন অন্যতম কাজ। এর পরে সম্ভাবনার জায়গাগুলো পূরণ করতে পারবো।’
রোহিঙ্গাদের বিষয়ে বিশ্বব্যাংকের বিবৃতি প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘এই বিষয়ে আমি অবগত নই। বিশ্বব্যাংক মাঝে মধ্যে আমাদের পরামর্শ দেয়। বিশ্বব্যাংক কোনো যৌক্তিক পরামর্শ দিলে সেটা আমরা গ্রহণ করি। অযৌক্তিক কোনো পরামর্শ আমরা বিবেচনা করি না। যৌক্তিক পরামর্শ হলে সেটা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ব্যবস্থা নেবে।’