ইথিওপিওয়ার অবরুদ্ধ টাইগ্রে অঞ্চলে খাদ্য সঙ্কট জনগণকে মরিয়া পদক্ষেপের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। কারণ কর্তৃপক্ষ ওই এলাকায় প্রয়োজনীয় দ্রব্য পাঠানো বন্ধ করে দিয়েছে।
ইথিওপিয়ার প্রশাসন গত বছর থেকে ব্যাংকিং পরিষেবা এবং সব যোগাযোগ টাইগ্রের সাথে বন্ধ করে দিয়েছে। ওই অঞ্চলের ৬০ লাখ মানুষের অর্থ প্রবাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ব্যাংকিং ব্যবস্থার অনুপস্থিতির কারণে স্থানীয়রা বেঁচে থাকার জন্য বিদেশে থাকা পরিবার ও বন্ধুদের কাছ থেকে পাঠানো অর্থের উপর নির্ভর করত। কিন্তু ইথিওপিয়া কর্তৃপক্ষ টাইগ্রেতে পাঠানো রেমিট্যান্সের উপর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। এমনকি চেকপয়েন্টগুলিতে অর্থ আনা চোরাকারবারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা জোরদার করেছে খোদ টাইগ্রে কর্তৃপক্ষ।
টাইগ্রের অভ্যন্তরীণ সূত্র জানিয়েছে, বেঁচে থাকার জন্য অনেক নারী ও কিশোরী যৌন পেশা বেছে নিতে বাধ্য হচ্ছে। এছাড়া ক্ষুধার তাড়নায় অনেকে আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছে। ক্ষুধার্ত তিন সন্তানের যন্ত্রণা এবং খাদ্যের জন্য স্ত্রীকে ভিক্ষা করতে দেখে গত মাসে টাইগ্রের মেকেল্লেতে এক সরকারি কর্মকর্তা আত্মহত্যা করেন।
গত সপ্তাহে জাতিসংঘ ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন কর্তৃপক্ষ দ্রুত ব্যাংকিং সেবা চালু এবং জ্বালানি সরবরাহ ও ত্রাণ বিতরণের ওপর বিধিনিষেধ প্রত্যাহারের জন্য ইথিওয়াপিয়া কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।