গত রোববার সারাদেশেডেঙ্গুজ্বরে মৃত্যু হওয়া পাঁচজনের চারজনই নারী। এর মধ্যে তিনজনই রাজধানীর। এছাড়া বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ডেঙ্গু আক্রান্তদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। গত রোববার বরিশালের বানারীপাড়া ও রংপুরের মিঠাপুকুরে দুই শিশু মারা গেছে।
কেন তুলনামূলকভাবে নারী ও শিশুরা বেশি মারা যাচ্ছে এ বিষয়ে সোসাইটি অব মেডিসিনের সাবেক প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ডা. নাজমুল আহসান বলেন, ‘ নারীদের ক্ষেত্রে অসচেতনতা ও ঋতুচক্রে মাত্রাতিরিক্ত রক্তক্ষরণের ঝুঁকি এবং শিশুদের ক্ষেত্রে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকাই কারণেই এমন হচ্ছে বলে মনে হয়। ইডেন কলেজের শিক্ষার্থী শান্তার ও আবহাওয়াবিদের স্ত্রীর মৃত্যু প্রসঙ্গে চিকিৎসকরা অতিরিক্ত রক্তক্ষরণই কারণ হিসেবে দেখছেন।
আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের (আইসিডিডিআর,বি) পরামর্শক ও সরকারের রোগ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা আইডিসিআরের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা. মাহমুদুর রহমান বলেন, শিশুরা তাদের অনুভুতি কম প্রকাশ করতে পারে, উলোদিকে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও কম থাকার কারণেই শিশু মারা যাচ্ছে। নারীদের ক্ষেত্রে রক্তক্ষরণই দায়ী।কারো যদি পায়খানার সাথে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়, এরকম মাসিকের সময় তার প্রচুর রক্তক্ষরণ হতে পারে। সে সময় কিন্তু রক্ত দিতে হয়। রক্তের পরিবর্তে রক্তই হলো একমাত্র চিকিৎসা। সে কারণে নারীরা আক্রান্ত হলে মৃত্যুর ঝুঁকি থাকে বেশি।তবে আক্রান্ত শিশু ও নারীদের দ্রুত হাসপাতালে প্রেরণও নিবিড় পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে সুস্থ জীবনে ফেরানো সম্ভব বলে মত বিশেষজ্ঞদের।