রেজাউল ইসলাম
বাংলাদেশের সেনাপ্রধান আজিজ আমেরিকা সফর শেষে দেশে ফিরে সংবাদ সম্মেলনে নানা প্রশ্নের উত্তর দেন। এই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে তিনি নতুন এক বিতর্কের সৃষ্টি করেন। এত দিন সবাই জানতো শুধুমাত্র তার ভাই জোসেফকে রাষ্ট্রপতি সাজা মওকুফ করে দিয়েছেন কিন্তু সেনাপ্রধান আজিজের বক্তব্যের পর বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে যে,সেনাপ্রধান আজিজের অন্য দুই ভাই হারিছ এবং আনিসকেও ২০১৯ সালের ২৮ মার্চ সাজা মওকুফ করে রাষ্ট্রপতির প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
এই জারিকৃত প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে, “রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে ষড়যন্ত্রমূলক,পরিকল্পিত,সাজানো,বানোয়াট মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত নিন্মবর্নিত।
দুই জন আসামিকে তাদের নামের পাশে বর্নিত মামলায় প্রদত্ত যাবজ্জীবন ও অর্থ দন্ড ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারার প্রদত্ত ক্ষমতাবলে সরকার কর্তৃক মওকুফ করা হয়েছে।” এই সাজা মওকুফের বিষয়টি নিয়ে সোস্যাল মিডিয়াতে ঝড় উঠেছে। অনেকে বলতে চাচ্ছেন সেনাপ্রধান আজিজের দুই ভাই হারিছ এবং আনিস যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত হয়ে কারাভোগ না করে বিদেশে পালিয়ে ছিলেন। সাজা মওকুফের ক্ষেত্রে দুই সাজাপ্রাপ্ত আসামি দেশে এসে আত্নসমর্পন না করা পর্যন্ত তাদের সাজা মওকুফের কোন সুযোগ নাই। সোস্যাল মিডিয়াতে একজন লেখেছেন,”নির্বাহী আদেশ দেয় ২৮ মার্চ ২০১৯, আজকে ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১। মাঝখানে এত বছর কি হয়েছিলো? পহেলা ফেব্রুয়ারি আল জাজিরার প্রতিবেদন বের হয়। সেনাপ্রধান ভাইদ্বয়ের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ আসতে থাকে। তখনও তারা কেন চুপ ছিল? আল জাজিরা প্রতিবেদন প্রকাশের পর থেকে তারপর আজ পর্যন্ত ১৬ দিন পার হয়ে গেছে।
এর মাঝে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন তিনি কিছু জানেন না, আইনমন্ত্রীও জানেন না। নির্বাহী আদেশ জারি হয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে, তারা কিভাবে না জেনে থাকে? অথচ প্রথম আলো যখন রিপোর্ট প্রকাশ করলো তাদের আগেই নির্বাহী আদেশে আত্মসমর্পণ করা ছাড়াই অব্যহতি দেয়া হয়েছে, তার কিছুক্ষণ পরেই আইএসপিআর জানালো সেনাপ্রধানের ভাইদের নির্বাহী আদেশে মামলা থেকে অব্যহতি দেয়া হয়েছে। তার আগে পর্যন্ত সরকার কিংবা প্রশাসনের কোন একটা মানুষ এইটা নিয়ে মুখ খুললো না কেন? তারপরও প্রশ্ন থেকেই যায় আত্মসমর্পণ ব্যাতিত কোন আসামিকে মামলা থেকে অব্যহতি দেয়া যায় কিনা?
এদিকে ডয়চে ভেলের(DW)এক প্রতিবেদনে এই সাজা মওকুফের প্রেক্ষাপট তুলে ধরা হয়। যেভাবে সাজা মওকুফ: “১৯৯৬ সালের ৭ মে ঢাকার মোহাম্মদপুরে ব্যবসায়ী মোস্তাফিজুর রহমান হত্যায় তিন ভাই আনিস আহমেদ, হারিস আহমেদ ও তোফায়েল আহমেদ ওরফে জোসেফসহ ছয় জনকে আসামি করে আদালতে চার্জশিট দেয়া হয়৷ বিচারে জোসেফ এবং মাসুদের মৃত্যুদণ্ড এবং হারিস ও আনিসসহ তিনজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়৷ জোসেফ কারাগারে আটক থাকায় আপিল করেন৷ হাইকোর্টের আপিলে তার মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকলেও আপিল বিভাগে সাজা কমে যাবজ্জীবন হয়৷ হারিস ও আনিস পলাতক থাকায় তারা আপিলের সুযোগ পাননি৷ জোসেফকে ২০১৮ সালে রাষ্ট্রপতি সাজা মওকুফ করে দিলে তিনি কারাগার থেকে ছাড়া পান৷ আর আনিস ও হারিস পলাতক থাকার পরও ২০১৯ সালের ২৮ মার্চ সরকার তাদের সাজা মওকুফ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে৷ ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ এবং সংবিধানের ৪৯ অনুচ্ছেদটি সাজা মওকুফ ও স্থগিত সংক্রান্ত৷ তবে মৃত্যুদণ্ড মওকুফের বিষয়টি এককভাবে রাষ্ট্রপতির এখতিয়ার৷ আর এর বিধানটি সুনির্দিষ্ট, কারণ ও অপরাধ স্বীকার করে এর সুযোগ পাওয়া যায়৷ তাছাড়া এতে সংশ্লিষ্ট বিচারকেরও মতামত প্রয়োজন হয়৷
আইনজীবী ও সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড. শাহদীন মালিক বলেন, ‘‘ফৌজদারি কার্যবিধিতে পলাতক বা পলাতক না এরকম কিছু বলা না থাকলেও আটক বা আত্মসমর্পণ ছাড়া এই সুবিধা নেয়ার কোনো সুযোগ নেই৷ আত্মসমর্পণ না করে কেউ জামিন বা আপিলেরও সুযোগ পান না৷ পলাতক আসামি আইনের কোনো সুবিধা পায় না৷ বাংলাদেশে এই দুইজন বাদে এখন পর্যন্ত কোনো পলাতক আসামি সাজা মওকুফ পাননি৷ আইনে নেই বলেই সুযোগ পায়নি৷” ‘হারিস ও আনিসের সাজা মাফ আইনের বাংলাদেশে এই দুইজন বাদে এখন পর্যন্ত কোনো পলাতক আসামি সাজা মওকুফ পাননি৷ আইনে নেই বলেই সুযোগ পায়নি৷”র উদাহরণ’ তবে এই দুই জনের সাজা মওকুফ করা হলেও তা ছিল অনেকটাই গোপন৷ বাংলাদেশ পুলিশের ওয়েবসাইটেও মঙ্গলবার পর্যন্ত হারিস আহমেদের নাম ও ছবি মোস্ট ওয়ান্টেড ক্রিমিনালের তালিকায় দেখা গেছে৷ তাদের দুই ভাইয়ের পলাতক অবস্থায় সাজা মওকুফের ব্যাপারে স্বরাষ্ট্র এবং আইনমন্ত্রীও স্পষ্ট করে সংবাদমাধ্যমকে কিছু বলতে পারেননি৷ এমনকি ডয়চে ভেলের কনফ্লিক্ট জোন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভীও পরিষ্কার কিছু বলতে পারেননি৷”
কি আছে ৪০১ ধারায়ঃ
৪০১ ধারা অনুযায়ী সরকার চাইলে, বিনা শর্তে বা শর্তসাপেক্ষে দন্ড স্থগিত করতে পারেন, পরবর্তীতে সরকার স্থগিতাদেশের সময় বৃদ্ধি করতে পারবেন, আবার শর্ত ভঙ্গ করলে যেকোন সময় উক্ত স্থগিতাদেশ বাতিল করে দিতে পারবেন,পুলিশ যেকোন সময় তাকে বিনা পরোয়ানায় গ্রেফতার করতে পারবেন, জেলে প্রেরন করতে পারবেন।
ধারাঃ ৪০১। দন্ড স্থগিত অথবা মওকুফ করিবার ক্ষমতা।
(১) কোন ব্যক্তি কোন অপরাধের জন্য দণ্ডিত হলে সরকার যে কোন সময় বিনা শর্তে বা দণ্ডিত ব্যক্তি যা মেনে নেয় সেই শর্তে তার দণ্ড কার্যকরীকরণ স্থগিত রাখতে বা সম্পূর্ণ দণ্ড বা দণ্ডের অংশ বিশেষ মওকুফ করতে পারবেন।
(২) যখন কোন দণ্ড স্থগিত রাখা বা মওকুফ করার জন্য সরকারের নিকট আবেদন করা হয় তখন যে আদালত উক্ত দণ্ড দিয়েছিলেন বা অনুমোদন করেছিলেন সেই আদালতের প্রিজাইডিং জজকে সরকার উক্ত আবেদন মঞ্জুর করা উচিত কিংবা মঞ্জুর করতে অস্বীকার করা উচিত, সে সম্পর্কে তার মতামত ও মতামতের কারণ বিবৃত করতে এবং এই বিবৃতির সাথে বিচারের নথির নকল অথবা যে নথি বর্তমানে আছে সেই নথির নকল প্রেরণ করার নির্দেশ দিবেন।
(৩) যে সকল শর্তে কোন দণ্ড স্থগিত রাখা বা মওকুফ করা হয়েছে তার কোনটি পালন করা হয়নি বলে মনে করলে সরকার স্থগিত বা মওকুফের আদেশ বাতিল করবেন এবং অতঃপর যে ব্যক্তির দণ্ড স্থগিত রাখা মওকুফ করা হয়েছিল সে মুক্ত থাকলে যেকোন পুলিশ অফিসার তাকে বিনা পরোয়ানায় গ্রেফতার করতে পারবেন এবং তার দণ্ডের অনতিবাহিত অংশ ভোগ করার জন্য তাকে জেলে প্রেরণ করা যাবে।
(৪) সেই শর্তে এই ধারার অধীন দণ্ড স্থগিত বা মওকুফ করা হয় যা, যে ব্যক্তির দণ্ড স্থগিত বা মওকুফ করা হয় সেই ব্যক্তি পূরণ করবে অথবা শর্ত এমন হবে যা পূরণে সে স্বাধীন থাকবে । (৪ক) এই বিধি বা অন্য কোন আইনের কোন ধারা অনুসারে কোন ফৌজদারী আদালত কোন আদেশ দান করলে তা যদি কোন ব্যক্তির স্বাধীনতা খর্ব করে অথবা তার বা তার সম্পত্তির উপর দায় আরোপ করে তাহলে উপযুক্ত উপধারাসমূহের বিধান এই আদেশের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে।
(৫) প্রেসিডেন্টের অনুকম্পা প্রদর্শন, দণ্ড স্থগিত রাখা বা কার্যকরীকরণের বিলম্ব ঘটানো বা মওকুফ করার অধিকারে এই ধারার কোন কিছু হস্তক্ষেপ করবে বলে মনে করা যাবে না। (৫ক) প্রেসিডেন্ট কোন শর্ত সাপেক্ষ ক্ষমা মঞ্জুর করলে উক্ত শর্ত যে প্রকৃতিরই হোক না কেন উহা এই আইন অনুসারে কোন উপযুক্ত আদালতের দণ্ড দ্বারা আরোপিত শর্ত বলে গণ্য হবে এবং তদানুসারে বলবৎ যোগ্য হবে।
(৬) সরকার সাধারণ বিধিমালা বা বিশেষ আদেশ দ্বারা দণ্ড স্থগিত রাখা এবং দরখাস্ত দাখিল ও বিবেচনার শর্তাবলী সম্পর্কে নির্দেশ দিতে পারবেন।”
শিশির মনির,ল’ল্যাব ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১ তারিখে তার লেখায় কয়েকটি রায়ের উল্লেখ করেন যা নিন্মে বিস্তারিত দেওয়া হলোঃ
আইনের চোখে পলাতক (Fugitive) অবস্থায় থেকে সাজা মওকুফের সুযোগ নেই ।————————————————————————
সরওয়ার কামাল বনাম রাষ্ট্র
১। ৩২ বিএলডি ৫২৯=৬৪ ডিএলআর ৩২৯] ১। ১৯৮৯ সালের ৮ জুন কক্সবাজার অতিরিক্ত দায়রা আদালত ২৫/১৯৮৭ নং দায়রা মামলায় সরওয়ার কামাল, মীর কাশেম ও দরবেশ আলীকে দণ্ডবিধির ৩০৪/৩৪ ধারা অনুযায়ী দোষী সাব্যস্ত করে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা প্রদান করে এবং অনাদায়ে আরও দুই বছরের কারাদণ্ড প্রদান করে। উক্ত রায়ের বিরুদ্ধে ১৯৮৯ সালে হাইকোর্ট বিভাগে ক্রিমিনাল আপিল দায়ের করেন। ১৯৯২ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট বিভাগ নিম্ন আদালতের রায় বহাল রেখে সাজার মেয়াদ পরিবর্তন করে ৮ বছর করে দেয়।
২। ১৯৯৩ সালের ১২ এপ্রিল স্বাক্ষরিত এক আদেশে মহামান্য রাষ্ট্রপতি সরওয়ার কামাল, মীর কাশেম ও দরবেশ আলীকে ক্ষমা করে দেন। আদেশ পাওয়া মাত্র জেলে থাকা মীর কাশেম ও দরবেশ আলী কারামুক্তি লাভ করেন। ক্ষমা লাভের আদেশ নিম্ন আদালতে না পৌঁছানোয় দায়রা আদালত ১৯৯৭ সালের ৩০ জুলাই সরওয়ার কামালের রিরুদ্ধে এরেস্ট ওয়ারেন্ট জারি করে। সরওয়ার কামাল তার আইনজীবীর মাধ্যমে এরেস্ট ওয়ারেন্ট রিকল করার জন্য আবেদন করেন।দায়রা আদালত শুনানি শেষে এরেস্ট ওয়ারেন্ট বৈধভাবে জারি হয়েছে মর্মে সিদ্ধান্তে উপনীত হন। যেহেতু তিনি হাইকোর্ট বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করেন নি সেহেতু তিনি আইনের চোখে পলাতক। এই আদেশের বিরুদ্ধে সরওয়ার হাইকোর্ট বিভাগে মামলা দায়ের করেন। শুনানির সময় হাইকোর্ট বিভাগ ১৯৯৩ সালের ১২ এপ্রিল স্বাক্ষরিত আদেশের অসঙ্গতি তুলে ধরেন।
৩। আদালতের সামনে প্রশ্ন উঠেছিল যে, আইনের চোখে পলাতক অপরাধীর সাজা রাষ্ট্রপতি কিংবা সরকার মওকুফ করতে পারে কি না? আইনের চোখে পলাতক আসামী/অপরাধী নিয়ে আপিল বিভাগের রায়সমূহ পর্যালোচনা করে হাইকোর্ট বিভাগ দায়রা আদালতের আদেশের সাথে একমত পোষণ করে বলেন, আইনের দৃষ্টিতে পলাতক অপরাধী আদালতের নিকট থেকে কোনো সাহায্য বা প্রতিকার পেতে পারে না। বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম আরো বলেন,
“The action of the President of the Government, as the case may be, must be based on some rational, reasonable, fair and relevant principle which is nondiscriminatory and it must not be guided by any extraneous or irrelevant considerations.
It is well settled that all public power including constitutional power shall never be exercisable arbitrarily or mala fide and ordinarily, a guideline for fair and equal execution are guarantors of the valid play of power and when the mode of power of exercising a valid power is improper or unreasonable, there is an abuse of power.” (Para 39) ‘It is presumed that the President and the concerned authorities of the Government are well conversant with the law that if a fugitive from the law is given pardon knowing his status then the exercise of power under, Article 49 of the Constitution or section 401(1) of the Code of Criminal Procedure certainly be arbitrary, mala fide, unreasonable, irrational and improper and such exercise of power is against the principle of the rule of law and an abuse of the power.
If the President of the Government has given such indulgence to a fugitive, ignoring and avoiding the direction of the Court and allow the fugitive to approach him/them straight and give him pardon exercising extraordinary power, a day will come when the Criminal administration of justice certainly be collapsed. In view of the principle of rule of law, the Court cannot approve such exercise of power, in favour of a fugitive, which is absolutely mala fide, arbitrary and unreasonable. Fairness, reasonableness and bonafide are the essence of the rule of law.’. Para 53″
তবে এটি সহজেই অনুমান করা যায় যে, আলজাজিরায় সেনাপ্রধান আজিজ এবং তার ভাই জোসেফ,হারিছ,আনিসকে নিয়ে ডকুমেন্টারি প্রকাশ হবার পর সেই ডকুমেন্টারিকে মোকাবেলা করার জন্য হারিছ এবং আনিসকে সাজা মওকুফ দেখানো ছাড়া সরকারের পক্ষে অন্য কোন বিকল্প ছিল না। কারন, আলজাজিরা দেখানোর চেষ্টা করেছে এক বিয়ের অনুষ্ঠানে সেনাপ্রধান আজিজ তার পলাতক দুই ভাই হারিছ এবং আনিসের সাথে মিলিত হয়েছে। সেনাপ্রধান আজিজকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য আলজাজিরার এই অংশটুকু সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আলজাজিরার উদ্দেশ্য ছিল, একজন রানিং সেনাপ্রধান পালাতক আসামিদের সাথে মিলিত হচ্ছে তা দেখানো।
এটা করতে পারলে আলজাজিরার অনেকগুলি উদ্দেশ্য সফল হয়ঃ
১) সেনাপ্রধান আজিজকে প্রশ্নবিদ্ধ করা।
২) সেনাপ্রধান আজিজকে প্রশ্নবিদ্ধ করার মাধ্যমে তার নিয়োগ কর্তাকে প্রশ্নবিদ্ধ করা।
৩) সেনাপ্রধান এবং তার নিয়োগ কর্তাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার মাধ্যমে সেনাবাহিনীর চেইন অফ কমান্ডকে মারাত্নক ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দেওয়া।
৪) সেনাবাহিনীর চেইন অফ কমান্ডকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে সেনা অসন্তোষকে উস্কে দেওয়া।
মুলত এই কয়টি বিষয়কে অকার্যকর করার জন্য সেনাপ্রধান আজিজের দুই ভাই হারিছ এবং আনিসের সাজা মওকুফের বিষয়টি সরকারের জন্য সামনে আনা জরুরী ছিল।
এই কারনেই সেনাপ্রধান আজিজ এখন বলতে পারছন,তিনি কোন আপরাধির সাথে মিলিত হন নি, তিনি মিলিত হয়েছেন সেই দুই ভাইয়ের সাথে যাদের সাজা বিয়ের অনুষ্ঠানে মিলিত হবার সময় অস্তিত্বশীল ছিল না।