রাজহধানী ঢাকার দুই সিটিতে ঈদুল আযহার প্রথম দিনে কোরবানির পশু জবাইয়ের পর ৩০ হাজার টন বর্জ্য অপসারণ করা হয় বলে দাবি করা হয়েছে। এর মধ্যে সোমবার রাত ১০টা পর্যন্ত ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ২০ হাজার টন এবং বেলা ২টা পর্যন্ত ঢাকা উত্তরে প্রায় ১০ হাজার টন বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম। সূত্র- বণিকবার্তা অনলাইন।
দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা উত্তম কুমার রায় বলেন, সোমবার রাত ১০টা নাগাদ তারা ২০ হাজার টন বর্জ্য অপসারণ করেছেন। মঙ্গলবার বিকালের আগে আরও প্রায় সাত হাজার টন বর্জ্য অপসারিত হবে বলে তার ধারণা।
সোমবার সকালে ঈদের নামাজ আদায়ের পর রাজধানীবাসী ব্যস্ত হয়ে পড়েন পশু জবাই। ব্কিালের মধ্যে কোরবানির পশুও ভাগাভাগি হয়ে যায় প্রিয়জনদের মধ্যে। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এবছর মহাখালী পশু জবাইখানাসহ ২৭৩টি স্থানে পশু কোরবানির ব্যবস্থা করে। এছাড়াও জবাইয়ের জন্য ৪০০টি স্থান চিহ্নিত করে দেয়। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন পশু জবাইয়ের জন্য ৬০২টি স্থান নির্ধারণ করে দিয়েছে। তবুও অনেক রাজধানীবাসী কেউ নিজ বাসভবনে, কেউ ভবনের পাশে সরু সড়কে আবার কেউ নগরীর প্রধান সড়কেও পশু জবাই করেছেন।
সিটি করপোরেশনের ডাকে রাজধানীবাসীর সাড়া না মেলায় এই কার্যক্রমে কিছুটা জটিলতা দেখা দেবে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম। এ বছর কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণের জন্য বিশেষ পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের আওতায় উত্তর সিটির নিজস্ব ২৪০০ এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৪৩৫ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মী কাজ করছেন।
আরও ১১০০ পরিচ্ছন্নতাকর্মী এবং বাসা-বাড়ি থেকে ভ্যান সার্ভিসের মাধ্যমে বর্জ্য সংগ্রহ করার জন্য প্রায় ৪ হাজার ৫০০ জন শ্রমিক কোরবানির বর্জ্য অপসারণে নিয়োজিত রয়েছেন। উত্তর সিটির পক্ষ থেকে এবার পশু কোরবানির জন্য ১০০ জন ইমাম এবং ২০০ জন মাংস প্রস্তুতকারীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৫২৪১ জন কর্মীর পাশাপাশি ১২৫২ জন কর্মীকে অস্থায়ীভাবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে কোরবানির বর্জ্য অপসারণের জন্য। পাশাপাশি কোরবানির পশুর হাট পরিষ্কারের কাজে আরও ১৯৫৪ জন রয়েছেন বলে জানা গেছে।