নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় চার বাল্কহেড শ্রমিক হত্যা মামলায় দুজনের মৃত্যুদণ্ড ও নয়জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
রোববার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নারায়ণগঞ্জের বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-৭ আদালতের বিচারক মোসাম্মৎ সাবিনা ইয়াসমিন সাত আসামির উপস্থিতিতে এই আদেশ দেন। এছাড়া যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের প্রত্যেককে নগদ ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা এবং অনাদায়ে আরো ১ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, বাল্কহেডের দুই ফিডারম্যান (ইঞ্জিনমিস্ত্রী) তাজুল ইসলাম ও মহিউদ্দিন। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে চারজন পলাতক রয়েছেন। রায় ঘোষণার পর আসামির স্বজনরা আদালতে কান্নায় ভেঙে পড়েন।
মামলার এজাহারের বরাত দিয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ফজলুর রহমান জানান, ২০০৮ সালের ২১ সেপ্টেম্বর শাহপরাণ নামের বাল্কহেড নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার বক্তাবলী এলাকায় ধলেশ্বরী নদীতে ইঞ্জিন নষ্ট হয়ে থেমে যায়। বাল্কহেডটি মেরামত করার জন্য এর চালক দুই ফিডারম্যান তাজুল ইসলাম ও মহিউদ্দিনকে ফোন করে ডেকে আনেন। মেরামত শেষে বাল্কহেডটি সচল হলে দুই ফিডারম্যান সেটি পরীক্ষা করার কথা বলে রাতে পূর্বপরিকল্পিতভাবে ডাকাতদের যোগসাজশে বক্তাবলীর চরে নিয়ে থামিয়ে দেয়। ওইদিন রাতের কোনো এক সময় দুই ফিডারম্যান সহযোগীদের সঙ্গে নিয়ে চালক নাসির মিয়া, কর্মচারী মঙ্গল, ফয়সাল ও হান্নানকে হাত-পা বেঁধে গলাকেটে হত্যা করে লাশ নদীতে ফেলে দেয়। পরে মেঘনা নদী থেকে নাসির এবং মঙ্গলের লাশ উদ্ধার হলেও ফয়সাল ও হান্নানের লাশ পাওয়া যায়নি।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ফজলুর রহমান বলেন, এই রায়ে নিহতের পরিবার সঠিক বিচার পেল। তিনি রায় দ্রুত কার্যকর করার দাবি জানান।