এবিএম সালেহ উদ্দীন।সাহিত্যাঙ্গনে সংস্কৃতি মনষ্ক একজন মুক্তমনা মানুষ।তিনি কবি ও সাহিত্য সমালোচক।শৈশব থেকেই তার লেখালেখির যাত্রা শুরু। শিশুতোষ, ছড়া-গল্প দিয়ে হাতেখড়ি হলেও মূলত গল্প-কবিতা, প্রবন্ধ-নিবন্ধসহ আন্তর্জাতিক ফিচারধর্মী কলাম লেখায় সিদ্ধহস্ত।
গল্প, কবিতা ও গবেষণাধর্মীসহ তার কয়েকটি বই প্রকাশিত হয়েছে।প্রেম-বিরহ, রোমান্টিকতা, সভ্যতা-সংস্কৃতি, ইতিহাস-ঐতিহ্য, মুক্তিযুদ্ধ, দেশাত্ববোধ ও মানবতাবোধের ঐশ্বর্য তার লেখার প্রধান বিষয়।
তার সাহিত্যে সভ্যতা, সংস্কৃতি, দেশপ্রেম, স্বাধীনতা ও ঐতিহ্যবোধ প্রবলভাবে উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। ছাত্রজীবন থেকে বেশ কয়েকটি লিটল ম্যাগাজিন ও স্মরণিকা সম্পাদনা করেছেন।তন্মধ্যে ‘অয়ন’, ‘অনির্বাণ’, ‘স্বদেশ’, ‘ঝংকার’ অন্যতম ।
এছাড়া তিনি নিউ ইয়র্ক এ দুই যুগ ধরে প্রতিবছর অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক লোক সংগীত সম্মেলনের অন্যতম উদ্যোক্তা এবং এ উপলক্ষ্যে প্রতিবছর প্রকাশিত ‘সুর’ পত্রিকার সম্পাদক এবং সমকালীন প্রসঙ্গ নিয়ে পত্র-পত্রিকার নিয়মিত কলাম লেখক ।
এবিএম সালেহ উদ্দীন ঢাকার ইনলাইটন প্রি-ক্যাডেট স্কুলের সাবেক চেয়ারম্যান ও অনন্য সংস্কৃতি সংসদের সহ-সভাপতি । বাংলাদেশে দীর্ঘদিন তিনি ঢাকা পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির পরিচালক, বাংলাদেশ সৃজনশীল প্রকাশনা পরিষদের পরিচালক ও বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির অন্যতম সদস্য ছিলেন। তিনি ঢাকার অভিজাত প্রকাশনা সংস্থা ‘বাড পাবলিকেশন্স’-এর স্বত্বাধিকারী। এলিফ্যান্ট রোড়ের অংকন প্রিন্টিং প্রেসের পরিচালক ও বাংলাবাজারে অবস্থিত ‘দি বাড কম্পিউটার্স’-এর ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ছিলেন। তিনি সাপ্তাহিক ‘দেশ মাতৃকা’ ও পাক্ষিক ‘দেশ অর্থনীতি’ পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ও প্রকাশক। উপমহাদেশের সুবিখ্যাত মানবসেবা প্রতিষ্ঠান’ ‘আন্জুমান মফিদুল ইসলাম’-এর জীবন সদস্য এবং লায়ন ক্লাব ঢাকা ওয়েসিসের সদস্য।
এবিএম সালেহ উদ্দীন বাংলাদেশ আমেরিকান প্রেস সার্ভিস (বাপস)-এর ভাইস-চেয়ারম্যান, ‘বনলতা শিল্পী-সাহিত্যিক সাংবাদিক গোষ্ঠীর পরিচালক এবং ‘শিরি শিশু সাহিত্য কেন্দ্রের অন্যতম উপদেষ্টা।নজরুল একাডেমি ইউএসএ’র জীবন সদস্য এবং শিল্পকলা একাডেমি ইউএসএ’র অন্যতম উপদেষ্টা । তিনি যুক্তরাষ্ট্রের মূলধারার ‘নিউ ইয়র্ক প্রেসক্লাবের এ্যাক্টিভ মেম্বার।নিউইয়র্ক বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও দীর্ঘদিন ধরে তিনি আমেরিকার’হিউমেনিস্ট সেন্টার অব কালচার-এর অন্যতম অ্যাক্টিভিস্ট ।
ব্যক্তিগত ভাবে বন্ধুপ্রিয় সংস্কৃতিসেবী ও উপস্থাপনা শিল্পে পারদর্শী এবং টিভি উপস্থাপক কবি এবিএম সালেহ উদ্দীন নিউ ইয়র্কে শতকন্ঠে ‘বিজয়ের কবিতা’, ’একুশের কবিতা’ ও ‘স্বাধীনতার কবিতা’অনুষ্ঠানের অন্যতম রূপকার । এছাড়া বাংলা সাহিত্যের অন্যতম কবি শহীদ কাদরী প্রতিষ্ঠিত ও কবিপত্নী নীরা কাদরী পরিচালিত’ ‘একটি কবিতা সন্ধ্যা’র সঙ্গে শুরু থেকেই কবির মহাপ্রয়াণ পর্যন্ত জড়িত ছিলেন। তিনি নিউ ইয়র্কে সর্ববৃহৎ সংগঠন ‘সাহিত্য একাডেমির প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে
যুক্ত রয়েছেন এবং নিয়মিত সাহিত্য আসরসহ অন্যতম ভূমিকা রাখছেন ।
বহির্বিশ্বে পড়াশুনা ছাড়াও এবিএম সালেহ উদ্দীন বিভিন্ন সময়ে ভারত,পাকিস্তান ,থাইল্যান্ড, সিংগাপুর, মালয়েশিয়া, সৌদি আরব, কুয়েত, বাহরাইন, আরব আমিরাত দুবাই, তুরস্ক, লন্ডন, প্যারিস, রোম, পর্তুগাল, বেলজিয়াম, স্পেনের মাদ্রিদ, বার্সেলনা, কানাডা এবং যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন স্টেট ও শহর ভ্রমণ করেছেন ।
তিনি মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে তিন ব্যাপী অনুষ্ঠিত ‘অল ইউরোপিয়ান বাংলাদেশ এসোসিয়েশন (আয়েবা) ‘র ফার্স্ট বাংলাদেশ গ্লোবাল সামিট ২০১৬, রোমে তিন ব্যাপী অনুষ্ঠিত কানেক্ট বাংলাদেশ সম্মেলন ২০১৮ এবং স্পেনের বার্সেলনায় অনুষ্ঠিত (তিনদিন ব্যাপী) কানেক্ট বাংলাদেশ সম্মেলন ২০১৯-এ অংশ গ্রহন করেন এবং আমেরিকা ও কানাডার বিভিন্ন শহরে অনুষ্ঠিত বঙ্গ সম্মেলন ও ফোবানাসহ বিভিন্ন সম্মেলন এ অংশ গ্রহন করেন।মার্চ ০১ কবি এবিএম সালেহ উদ্দীনের জন্মদিন।কবিকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা ।