দেশে মহামারি করোনাভাইরাস শনাক্তের এক বছর পূর্ণ হলো আজ। গত বছরে এই দিনে দেশে প্রথমবারের মতো করোনাভাইরাসের রোগী শনাক্ত হয়েছিলো।
এদিকে, করোনা মহামারির বিপর্যস্ততা কাটিয়ে করোনা টিকায় সাফল্য খুঁজছে বাংলাদেশ। করোনা মোকাবিলায় কমনওয়েলথভুক্ত ৫৪ দেশের সরকার প্রধানের মধ্যে শীর্ষ তিন নেতার একজন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুরু থেকে কয়েক মাস ভয় ও শঙ্কায় কেটেছে দেশবাসীর। এখন স্বস্তি এসেছে টিকা আসায়। দেশবাসী আগ্রহ নিয়ে করোনা টিকা নিচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, টিকাদানে অভাবনীয় সাফল্য দেখিয়েছেন বাংলাদেশ। তবে করোনাকালে স্বাস্থ্য খাতের যে ক্ষতগুলো বেরিয়ে এসেছে, ভাবতে হবে সেগুলো নিয়েও।
দেশের প্রথম লকডাউন রাজধানীর উত্তর টোলারবাগ এলাকার জীবন এখন অনেকটাই স্বাভাবিক। ওই এলাকার বাসিন্দারা জানান, এখানকার জীবনযাপন এখন অনেকটা স্বাভাবিক।
২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা শনাক্ত হওয়ার পর ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে আক্রান্তের সংখ্যা। লকডাউনে যায় বাংলাদেশ। গণপরিবহন থেকে শুরু করে অফিস আদালত সব বেধে যায় সীমিত পরিসরের বেড়াজালে। থমকে যায় সবকিছু, যেন বন্দি হয় প্রকৃতির কাছে।
এক বছর পর গতকাল পর্যন্ত দেশে কোভিড-১৯ শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়ায় ৫ লাখ ৩ হাজার ৩০ জনে। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৫ লাখ ৩ হাজার ৩ জন। মৃতের সংখ্যা ৮ হাজার ৪৬২ জন। এ পর্যন্ত ৫০ লাখের বেশি মানুষ ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য নিবন্ধন করেছেন। এর মধ্যে প্রায় ৩৭ লাখ মানুষ টিকার আওতায় এসেছেন।
চিকিৎসকরা বলছেন, এক বছরে এই পরিসংখ্যানটা অন্য অনেক দেশের তুলনায় স্বস্তিদায়ক।