রেজাউল ইসলাম:-আজ কানাডার বিতর্কিত হোটেলে কোয়ারেন্টিন থাকার বাধ্যবাধকতার উপর সিদ্ধান্ত আসতে পারে। শুক্রবার কানাডিয়ান কন্সটিটিউশন ফাউন্ডেশন হোটেল কোয়ারেন্টিন প্রগ্রামের বিরুদ্ধে ইঞ্জাংশন আনার জন্য অন্টারিও সুপ্রিম কোর্টের কাছে আবেদন করেছে। উল্লেখ্য যে গত ফেব্রুয়ারী ২২ তারিখ থেকে হোটেল কোয়ারেন্টিন প্রগ্রাম চালু হয়েছে যার বিরুদ্ধে অসংখ্য অভিযোগ আছে।
অন্টারিও সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ফেড্রিক মায়ার্স আজ সকালে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবেন বলে আশা প্রকাশ করেন। সিসিএফ এর লিটিগেশন ডাইরেক্টর ক্রিস্টিন ভ্যান গিয়ান এক ইমেল বার্তায় বলেন,”আমরা খুব সন্তুষ্ট যে আমাদের ল’য়ার মিঃ রুথ কেসের উপর হিয়ারিংয়ের কাজটি খুব চমৎকার ভাবে উপস্থাপন করেছেন এবং বিচারপতির প্রশ্নের উত্তরও খুব ভালোভাবে দিয়েছেন।” “এই বিষয়ে ইঞ্জাংশন হবার পক্ষে খুব উচ্চ সম্ভাবনা রয়েছে, আমরা বিশ্বাস করি আমাদের কেসটি খুব জোরালো এবং আমরা পৃথকভাবে যে সব যাত্রীদের সংগে কাজ করছি তাদের বাধ্য হবার ঘটনাগুলি খুব উচ্চ মাত্রার।” “আমরা আজ সিদ্ধান্তের আপেক্ষায় রয়েছি।”
ফেডারেল সরকার গত ১৪ই ফেব্রুয়ারী চারটি আন্তর্জাতিক এয়ারপোর্টে একটি নিয়ম চালু করেন যে, যে সব যাত্রী কানাডায় আসবে তাদেরকে অবশ্যই এয়ারপোর্টের নির্ধারিত স্থানে কোভিড১৯ টেস্ট করাতে হবে। যাত্রীদেরকে বাধ্যতামূলকভাবে টেস্টের ফলাফল না পাওয়া পর্যন্ত হোটেলে তিনদিন থাকার রির্জাভেশের কাগজপত্র দেখাতে হবে। “হোটেলে থাকা ব্যয়বহুল। কখনো কখনো তিন রাতের জন্য ২০০০ ডলার দিতে হয়। অনেক যাত্রীদের টেস্টের ফলাফল একদিনের চেয়ে কম সময়ে পাওয়া যায় কিন্তু এখানে আপাতদৃষ্টিতে কোন কিছু দেখা যায় নি যে হোটেল অব্যবহৃত রাত্রী অবস্থান না করার অর্থ যাত্রীদেরকে ফেরত দিচ্ছে।”
“অতিরিক্ত ব্যয়ের বিষয়টি ছাড়াও, হোটেলের নিন্মমানের খাবার আর নিন্মমানের সার্ভিসের ব্যাপারে যাত্রীদের অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে।” “সবচেয়ে বড় ইস্যু হচ্ছে, কানাডায় প্রবেশে আমাদের মৌলিক অধিকার রয়েছে, আর এই নিয়ম সেই অধিকারকে সীমিত করে এবং এই “সীমিতটা” খুব একটা বিবেচনাপ্রশ্রুতভাবে করা হয় নি।” অন্টারিও কেসটির পাশাপাশি এই কোয়ারেন্টিন প্রগ্রামের বিরুদ্ধে আরো অসংখ্য আইনগত চ্যালেঞ্জ জমা হচ্ছে।
Picture Credit: TravelPluseCanada