নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ের রয়েল রিসোর্টে হেফাজত নেতা মামুনুল হককে নারীসহ ঘেরাও করা হয়েছে, সে নারী পার্লারে কাজ করেন বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘পার্লারে কাজ করা এক মহিলাকে বউ হিসেবে পরিচয় দেয়। আবার নিজের বউকে ফোন করে বলে যে, অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে এটা আমি বলে ফেলেছি।’ রবিবার (৪ এপ্রিল) জাতীয় সংসদে সমাপনী বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘এদের চরিত্রটা কী, তা বলতে চাই না। গতকালই আপনারা দেখেছেন। ধর্ম ও পবিত্রতার কথা বলে অপবিত্র কাজ করে ধরা পড়ে এরা। সোনারগাঁওয়ে একটি রিসোর্টে হেফাজতের যুগ্ম সম্পাদক ধরা পড়লো। তা ঢাকার জন্য নানা রকম চেষ্টা করেছে তারা।’ তিনি আরও বলেন, ‘যারা ইসলাম ধর্মে বিশ্বাস করে, এ রকম মিথ্যা কথা তারা বলতে পারে? অসত্য কথা বলতে পারে? যারা মিথ্যা বলতে পারে, তারা কী ধর্ম পালন করবে? মানুষকে কী ধর্ম শেখাবে?’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘হেফাজতের যারা সদস্য, তাদের অনুরোধ করবো, তারা একটু বুঝে নেন, কী ধরনের নেতৃত্ব তাদের। জ্বালাও-পোড়াও করে গিয়ে তিনি বিনোদন করতে গেলেন একটা রিসোর্টে একজন সুন্দরী মহিলা নিয়ে । এটাই তো বাস্তবতা, এরা ইসলাম ধর্মের নামে কলঙ্ক। ইসলাম ধর্মকে ছোট করে দিচ্ছে। কিছু লোকের জন্য আজকে এই ধর্মটায় জঙ্গি, সন্ত্রাসীর নাম হচ্ছে। পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ধর্ম ইসলাম । ইসলাম ধর্ম সবচেয়ে সহনশীলতা শিখিয়েছে, শান্তির কথা বলেছে। সাধারণ মানুষের কথা বলেছে। সাধারণ মানুষের উন্নয়নের কথা বলেছে। সেই পবিত্র ধর্মকে এরা ধ্বংস করে দিচ্ছে। তারা ধর্মের নামে ব্যবসা শুরু করেছে। এত অর্থ কোথা থেকে আসে এই বিনোদনের? সেটা একটা প্রশ্ন। এটা দেশবাসী বিচার করবে। আর আইন তার আপন গতিতে চলবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘একজন মুসলমানের দায়িত্ব তার একজন মুসলমানের জানমাল রক্ষা করা। কিন্তু হেফাজতের নামে তারা জ্বালাও-পোড়াও করে যাচ্ছে এবং বিএনপি-জামাত তাদের মদদ-দাতা। এই লজ্জা শুধু বাংলাদেশের নয়, জনগণের লজ্জা। আমাদের দুঃখ হলো এই পবিত্র ধর্মকে তারা সম্পূর্ণ নষ্ট করে দিচ্ছে। তাদের এসব কর্মকাণ্ডের ফলে বহু মানুষের জীবন গেছে। এমনকি এই কারণে ২৬ মার্চে অনেক মানুষের জীবন গেছে। এর জন্য দায়ী তারা।
এ সময় তিনি দেশবাসীকে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে।’ অপকর্মের সঙ্গে জড়িতর অবশ্যই বিচার হবে বলেও তিনি প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
তথ্য: বাসস