মিয়ানমারে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে আরো ৬০ জন বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছেন।
শুক্রবার (৯ এপ্রিল) রাত থেকে শনিবার (১০ এপ্রিল) সকাল পর্যন্ত চালানো অভিযানে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে বিপুল সংখ্যক সাধারণ মানুষের এই মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। মিয়ানমারের বৃহত্তম শহর ইয়াঙ্গুন থেকে ৯১ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে অবস্থিত বাগো শহরে অভিযান চালায় দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী। এই অভিযানেই সেখানে কমপক্ষে ৬০ বেসামরিক মানুষ নিহত হন। খবর আলজাজিরার।
রাতভর চালানো এই অভিযানে সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে সামরিক বাহিনী প্রচলিত অস্ত্রের পাশাপাশি মেশিনগান, গ্রেনেড এবং মর্টার শেল ব্যবহার করেছে বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। নিহতদের পরিবার বা স্থানীয়রা অভিযানে মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মরদেহ উদ্ধার করতে পারেননি। নিহতদের বেশিরভাগেরই মৃতদেহ নিরাপত্তা বাহিনী নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় দেশগুলি শুক্রবার জাতিসংঘ সুরক্ষা কাউন্সিলের একটি বৈঠকে ব্যবস্থা নেওয়ার পক্ষে জানায়। যেখানে বর্তমান অবস্থা নিয়ে দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় শীর্ষ সম্মেলন রূপ নিচ্ছিল। তবে সামরিক নেতৃত্ব এতে বিরোধী ছিল। এবং জাতিসংঘের বিশেষ দূতকে প্রবেশ করতে অস্বীকার করেছিল।
শুক্রবার রাতে ও শনিবার সকালে ইয়াঙ্গুনের বৃহত্তম শহর বাইগোর বিভাগে বিক্ষোভ চলাকালীন কমপক্ষে ৬০০ বেসামরিক নাগরিক নিহত হওয়ার খবর প্রকাশিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এই কূটনীতিকের আহ্বান জানানো হয়।
এদিকে, জান্তা সরকারের দমনপীড়ন ও সাধারণ মানুষের প্রাণহানির ঘটনায় মিয়ানমারের ওপর আরও নিষেধাজ্ঞা আরোপের পাশাপাশি দেশটিতে নো-ফ্লাই জোন ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত মিয়ানমারের দূত কিয়াও মোয়ে তুন।
রেডিও ফ্রি এশিয়া জানায়, শুক্রবার রাত ৮টা পর্যন্ত স্থানীয়রা তিনটি মরদেহ উদ্ধার করতে পেরেছেন। বাকিগুলো সেনা সদস্যরা স্থানীয় একটি প্যাগোডা এবং স্কুলে নিয়ে ফেলে রেখেছে।