প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বাংলাদেশ কৃষিপ্রধান দেশ। কৃষি আমাদের উন্নয়নের সবচেয়ে বড় মাধ্যম।’
সোমবার (১৯ এপ্রিল) বাংলাদেশ কৃষক লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে গণভবন থেকে দেওয়া ভার্চুয়াল ভাষণে এসব কথা বলেন তিনি।
কৃষক লীগের সব সদস্যকে শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষের অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা, শিক্ষা এবং স্বাস্থ্যসেবা—সব ধরনের মৌলিক অধিকার পূরণের জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছিলেন অনেক সংগ্রামের পথ বেয়ে। কৃষকলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বাংলাদেশের সব কৃষক-কৃষাণীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই। কারণ, তারা রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে খাদ্য উৎপাদন করেন। সেই খাদ্য খেয়েই আমরা বেঁচে থাকি। কাজেই তাদের প্রতি আমাদের সব সময় সমর্থন রয়েছে এবং তাদের সহযোগিতা করা- এটা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ তাদের কর্তব্য মনে করে।’
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ যখন সরকারে এসেছে, তখন থেকে কৃষকদের আর কোনো কষ্ট থাকেনি। কারণ, আমরা তাদের জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নিয়েছি। আমরা কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে বিনা জামানতে ঋণের ব্যবস্থা করেছি। সারের দাম বিএনপি সরকারের আমলে ৯০ টাকা ছিল, তা আজ ১২ টাকায় নামিয়ে এনেছি। গবেষণার মাধ্যমে উন্নত বীজ উৎপাদন করছি এবং সেই বীজ সরবরাহ করছি। আমরা কৃষি যান্ত্রিকীকরণ করছি, যাতে কৃষকরা আরও অধিক খাদ্য উৎপাদন করতে পারে। সেচ কাজে কৃষক যে বিদ্যুৎ ব্যবহার করেন, সেখানে আমরা ভর্তুকি দিচ্ছি।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আজকের বাংলাদেশ ডিজিটাল বাংলাদেশ। কৃষক মোবাইল ফোনে ছবি তুলে তার ফসলের কী অবস্থা, মাটির কী অবস্থা বা মাটি পরীক্ষা করা এবং কী ধরনের সার ব্যবহার করবেন, কতটুকু ব্যবহার করবেন বা কীটনাশক ব্যবহার করবেন কি না বা কতটুকু করবেন, তা জানতে পারেন।’
কৃষক লীগকে ধন্যবাদ জানিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতি বলেন, ‘আজকের এই দিনে আমার দুঃখ একটাই—করোনাভাইরাসের কারণে আমি স্বশরীরে উপস্থিত থাকতে পারলাম না। সকলের সাথে দেখাও আমার হলো না। প্রতি বছর আমরা কৃষকলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করি। তবে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে, মাস্ক পরতে হবে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলা এবং স্বাস্থ্যসুরক্ষার নির্দেশাগুলো মেনে নিজেকে সুরক্ষিত রাখুন, অপরকে সুরক্ষিত করুন।’
তথ্য: বাসস