রেজাউল ইসলাম:–বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, বৃটেন আর বৈশ্বিক মহামারীর মধ্যে নেই। নতুন তথ্য উপত্তা দেখাচ্ছে, ভ্যাক্সিনেশন প্রগ্রাম symptomatic কোভিড সংক্রমণ ৯০ শতাংশ কমিয়ে এনেছে। সাধারণ জনসংখ্যার উপর ভ্যাক্সিনের প্রভাব নিয়ে এই প্রথম বৃহৎ পরিসরের গবেষনায় দেখা যাচ্ছে যে, ভ্যাক্সিন রোলআউট প্রগ্রাম symptomatic এবং asymptomatic উভয় প্রকার সংক্রমণ কমিয়ে আনার ক্ষেত্রে বড় ধরনের ভূমিকা রাখছে । ন্যাশনাল স্ট্যাটিস্টিক্স কোভিড-১৯ ইনফেকশন সার্ভের প্রধান অনুসন্ধানকারী অক্সফোর্ডের মেডিকেল স্ট্যাটিসটিকস এন্ড এপিডোমলোজির অধ্যাপক সারাহ ওয়াকার বলেন বৃটেনে বৈশ্বিক মহামারী দেশগত মহামারীতে রূপ নিয়েছে যেখানে ভাইরাস খুব নিন্ম মাত্রায় ছড়াচ্ছে।কমিউনিটিতে ভাইরাস ব্যাপকভাবে নিয়ন্ত্রনের মধ্যে রয়েছে।
গত বছর ফার্স্ট ডিসেম্বর এবং থার্ড এপ্রিলের মধ্যে ৩৭৩৪০২ জন মানুষের গলায় সওয়াব এর মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্যে দেখা যায়, যারা এক ডোজ ফাইজার অথবা এস্ট্রোজেনিকা ভ্যাক্সিন নিয়েছিল, তিন সপ্তাহ পর তাদের symptomatic ইনফেকশন ৭৪ শতাংশ কমে এসেছে এবং asymptomatic ৫৭ শতাংশ কমে এসেছে। দুই ডোজ নেওয়ার পর asymptomatic সংক্রমণ হ্রাস পেয়েছে ৭০ শতাংশ এবং symptomatic হ্রাস পেয়েছে ৯০ শতাংশ। দেখা যাচ্ছে বৃটেনে ধারাবাহিকভাবে সংক্রমণ কমে আসছে। স্কুল এবং দোকান-পাট খুলে দেওয়ার পরেও প্রতি সপ্তাহে ৭ শতাংশ করে কমছে।
গত সপ্তাহে মৃত্যুর হারও ২৬ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে এবং হাসপাতালে ভর্তি হ্রাস পেয়েছে ১৯ শতাংশ। নতুন ডেটায় দেখা যাচ্ছে, মার্চে কোভিড-১৯ আর মৃত্যুর প্রধান কারণ হিসাবে গন্য হচ্ছে না । অক্টোবরের পর এই প্রথম কোভিড-১৯ মৃত্যুর কারণ হিসাবে ডিমেনশিয়া এবং হৃদরোগকে পিছনে ফেলে দিয়েছে। প্রফেসর ওয়াকার বলেন, তিনি আশাবাদী, ভ্যাক্সিনেশন প্রগ্রাম কোভিডকে নিয়ন্ত্রণ রাখতে সক্ষম হবে। আসন্ন সপ্তাহগুলিতে ইনফেকশন প্রতিদিন ১০০০ এর নিচে নেমে আসবে যা আগষ্টের নিম্ন রেকর্ডের প্রায় কাছাকাছি। তিনি বলেন,সাম্প্রতিক সময়ে ভ্যারিয়েন্ট কোন সমস্যা করছে না।
Sarah Knapton, Science Editor,The Telegraph -এ লেখা থেকে অনুবাদকৃত।