গত ২৬ এপ্রিল অনলাইনে ‘সকল ক্ষেত্রে সেবা পাওয়ার, পথশিশুদের আছে অধিকার’ স্লোগানকে সামনে জাতীয় পর্যায়ে একটি পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিশু অধিকারবিষয়ক সংসদীয় ককাসের সভাপতি ও স্বরাষ্ট্র মন্তণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি জনাব শামসুল হক টুকু । বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেএনএইচ জার্মানীর ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি কো-অর্ডিনেটর মাটিলদা টিনা বৈদ্য।
শামসুল হক টুকু বলেন, শিশুবান্ধব সরকার প্রধান জননেত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পরপরই শিশুবান্ধব আইন-নীতিমালা সংশোধন ও পরিমার্জন করেছে। পথশিশুদের জন্য বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণের লক্ষ্যে ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও দপ্তরগুলোকে নির্দেশনা দিয়েছেন। সুবিধাবঞ্চীত শিশু ও পথশিশুদের সুরক্ষা উন্নয়নের জন্য সংসদীয় কমিটি ও ককাশের মিটিং গুলোতে আলোচনা করছে। সরকার ও বেসরকারি সংস্থাগুলো যৌথভাবে কাজ করতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণে আগামী ককাশের মিটিং-এ আলোচনা করা হবে।
তিনি আরো বলেন, সুবিধাবঞ্চীত পথশিশু ও শিশুশ্রমিকদেও কারা ব্যবহার করছে তাদেও খুঁজে বের করার আহ্বান জানান। সরকার শিশু অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠার কাজ এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, খুব শিগগিরই আপনারা দেখবেন। তিনি স্ক্যান বাংলাদেশের দাবির সঙ্গে একমত পোশন করে বলেন, আসুন বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার জন্য একসাথে কাজ করি।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মাটিলদা টিনা বলেন, কেএনএইচ জার্মানি দীর্ঘদির ধরে বাংলাদেশে পথশিশুদে জন্য কাজ করে আসছে। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলেই পথশিশুর জন্য কাজ করছে, কেউ কেউ পথশিশুর উৎসমূল বন্ধে কাজ করছে। আমরা মনে করি পথশিশুদেও সমস্যা সমাধান কারোর একার পক্ষে করা সম্ভব নয়, সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা যৌথভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া প্রয়োজন।
সভাপতির বক্তব্যে জনাব জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে পরিচালিত পথশিশুবিষয়ক কার্যক্রমগুলো যথাযথ মনিটরিংয়ের আওতায় নিয়ে আসা প্রয়োজন, সে ক্ষেত্রে সরকারিবেসরকারি সংগঠনগুলোকে নিয়ে একটি কমিটি করা যেতে পারে।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন এলমা চট্টগ্রারের নির্বাহী পরিচালক জেসমিন সুলতানা পারুল, জেএসের প্রতিনিধি জনাব রহমান, সিআরএসএস এর নির্বাহী পরিচালক জনাব রবিন, গুড নেইবার্স বাংলাদেশের জনাব রেমো রনি, এএসডির ফারহানা, লিডার্সের নির্বাহী পরিচালকসহ বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিরা।
পরামর্শ সভায় এসওএস চিল্ড্রেন ভিলেজ, ওয়ার্লড ভিশন বাংলাদেশ, আপন ফাউন্ডেশন, ঢাকা আহ্সানিয়া মিশন, এক রঙ্গা এক ঘুড়ি, জনসেবা, চেঞ্জ লাইভ ফাউন্ডেশন, ফেউথ ইন একশন, এএসডি, এসিডি রাজশাহী, গ্রামবাংলা উন্নয়ন কমিটি, ডেফোডিল ইন্সটিটিউট অব সোস্যাল সায়েন্সেস সহ ৪৩ টি সংগঠনের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।