ভারতের বেঙ্গালুরুর এক চিকিৎসক মহামারি করোনাভাইরাসের যুদ্ধে নবমবারের মতো প্লাজমা দান করে নজির সৃষ্টি করলেন।
বৃহস্পতিবার (২৯ এপ্রিল) ৫২ বছর বয়সি চিকিৎসক শ্রিকান্থ ভি এই নজির সৃষ্টি করেন।
২০২০ সালের আগস্টে করোনায় আক্রান্ত হন মনিপল হাসপাতালের প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের কনসালটেন্ট ডা. শ্রিকান্থ। করোনা থেকে সুস্থ হওয়ার পর তিনি হাসপাতালের ব্লাড ব্যাংকে নিয়মিত প্লাজমা দান করে আসছেন।
রক্তের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হচ্ছে রক্তরস বা প্লাজমা। এটি হালকা হলুদাভ তরল যা সাধারণত দেহের বিভিন্ন প্রকার রক্তকোষ ধারণ করে। মানব দেহের শতকরা প্রায় ৫৫ ভাগই হল রক্তরস। রক্তরস মূলত কোষপর্দার বাইরের রক্তগহ্বরের মধ্যকার তরল পদার্থ। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পরে যারা পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠেছেন, তাদের শরীরে এক ধরনের অ্যান্টিবডি বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়। তাদের শরীর থেকে প্লাজমার মাধ্যমে সংগ্রহ করা এই অ্যান্টিবডি যদি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কোন ব্যক্তির শরীরে প্রয়োগ করা হয়, তখন তার শরীরের সেই অ্যান্টিবডি বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়।
ডা. শ্রিকান্থ জানান, প্লাজমা দান করলে কোভিড অ্যান্টিবডি কমে যায় না। তারপরও প্রত্যেকবার প্লাজমা দানের আগে তিনি বাধ্যতামূলকভাবে কোভিড স্পাইক অ্যান্টিবডি পরীক্ষা করিয়ে নেন।
তিনি বলেন, ‘২০২০ সালের আগস্টে করোনায় আক্রান্তের সময় আমার লক্ষণগুলো হালকা মাত্রার ছিল। এরপর থেকে আমি প্রতি তিন থেকে চার সপ্তাহ পর প্লাজমা দান করে আসছি। পরীক্ষায় স্পাইক প্রোটিন অ্যান্টিবডি নির্ধারিত মাত্রার চেয়েও অনেক বেশি পাওয়া যায়। প্লাজমা দান করলে কারো কোভিড অ্যান্টিবডি শেষ হয়ে যায় না।’
করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন এমন ব্যক্তিদের ২৮ দিন অন্তর প্লাজমা দান করার পরামর্শও দিয়েছেন তিনি।