ফুটবলের ঈশ্বর খ্যাত ম্যারাডোনার মৃত্যুর কারণ তদন্ত শেষে সাতজনের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন ম্যারাডোনার নিউরোসার্জন লিওপোলদো লুকুয়ে, মন স্তত্ত্ববিদ অগাস্তিনা কোসাশোভ, মনোবিজ্ঞানী কার্লোস দিয়াস, দুই ব্যক্তিগত চিকিৎসক, নার্স এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মী। অভিযোগ প্রমাণিত হলে ২৫ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে তাদের।
গত বছরের ২৫ নভেম্বর বিশ্ব ফুটবলের মহানায়ক দিয়াগো ম্যারাডোনো নিজ বাড়িতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। নভেম্বরের প্রথম দিকে মস্তিষ্কে রক্তজমাট বাঁধার কারণে অস্ত্রোপচার হয় ম্যারাডোনার। এই অস্ত্রোপচারের ৮ দিন পর গত ১১ নভেম্বর হাসপাতাল ছাড়েন তিনি। এরপর নিয়মিত স্থানীয় ক্লিনিকে থেরাপি এবং সঙ্গে বাসায় চলছিল তার চিকিৎসা। কিন্তু হাসপাতাল থেকে বাসায় ফেরার দুই সপ্তাহের মধ্যে আকস্মিক হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান বিশ্ব ফুটবলের সর্বশ্রেষ্ঠ এই তারকা।
তার মৃত্যুর সময়েই চিকিৎসকদের অবহেলার বিষয়টি আলোচনায় এসেছিল। সেই অভিযোগ খতিয়ে দেখতে সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষ আর্জেন্টিনায় তদন্ত কমিটিও গঠন করে।
তদন্ত কমিটি চলতি বছরের মার্চে একটি মেডিক্যাল বোর্ড তৈরি করে অভিযোগ খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেয়। ২০ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের প্যানেল ৩০ এপ্রিল তদন্ত প্রতিবেদন কমিটির কাছে রিপোর্ট জমা দেন। ৭০ পৃষ্ঠার এই রিপোর্টে পরিস্কার বলা হয়, ‘দিয়াগো ম্যারাডোনোর চিকিৎসকের দায়িত্বে যারা ছিলেন তারা পর্যাপ্ত সেবা করেননি, চিকিৎসায় ঘাটতি ছিল, তারা ছিল বেপরোয়া। রিপোর্টে এও বলা হয়, ম্যারাডোনার মৃত্যুর ১২ ঘণ্টা পর খবর প্রকাশ করা হয়।