অবশেষে অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ আঘাত হেনেছে ভারতের ওড়িষার ধামরা ও বালাশ্বরে।
বুধবার (২৬ মে) সকালে ভারতের বিভিন্ন গণমাধ্যমে বলা হয়েছে, এই মুহূর্তে ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রের গতিবেগ ঘণ্টায় ১৩০ থেকে ১৪০ কিলোমিটার, সর্বোচ্চ ১৫৫ কিলোমিটার। আড়াই থেকে ৩ ঘণ্টা ধরে এই প্রক্রিয়া চলবে।
আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রভাগ আঘাত হানতে শুরু করে স্থলভাগে। এই মাঝের অংশটি ঢোকার সময় ঝড়ের বেগ ও বৃষ্টির পরিমাণ কিছুটা কমে যায়। শেষের অংশটি অতিক্রম করে যাওয়ার সময় ফের ঝড়ের দাপট বাড়বে। পূর্ণিমার ভরা কোটাল থাকায় প্রবল জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে সাগর দ্বীপে জোয়ার শুরু হয়েছে। ঢেউয়ের উচ্চতা সর্বোচ্চ সাড়ে ৫ মিটারেরও বেশি হবে।
সকাল সাড়ে ৬টা নাগাদ কলকাতায় ঝড়ের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার। সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে পূর্ব মেদিনীপুরে। দিঘায় সকাল সাড়ে ৬টায় ইয়াসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৮৮ কিলোমিটার। ঝড়ের দাপটে ওড়িশায় এক জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড়ের সঙ্গে ভরা কোটালের ফলে রাজ্যে আরও বেশি ক্ষতি হয়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ১৫টি বাঁধ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুরে ৫১টি বাঁধ ভেঙেছে।