-ফেরদৌস নাহারের
বসে আছি গির্জার শীতলুায়। কেউ নেই।
একজন বাজিকর এইমাত্র জ্বালিয়ে গেছে চারটি মোমবাতি
আর আমি ভাবছি- কার যেন আজ জন্মদিন ছিল?
যখন উঠেছে ঝড় ঘর থেকে বের হওয়া ভাবিনি নিরাপদ
তবুও বেরুতে হলো। গুনে না গুনে কিছু পথ যেতেও হলো
ফিরিনি আর বৃষ্টি-ঝড়ের রাতে। বরং একঠাঁই দাঁড়িয়ে ছিলাম
ক্রসিং বাতির পাশে। ভিজতে ভিজতে হিমে হি হি করে কেঁপে উঠেছি
রক্তমাটির খোঁজে। পথ তবু আটকে রাখে নিঃশ্চুপ শিকলে।
এখন রয়েছি বসে যিশুর আইকনের সাথে
কেমন শান্ত চারদিক। কাঠমিস্ত্রি জিসাস হেঁটে বেড়াচ্ছে হাতুরি হাতে
অথচ কারা যেন ফিসফিস করে ষড়যন্ত্র আঁটছে পেরেক ঠুকবার আগে ভাগে।
গির্জার লম্বা বেঞ্চিতে শুয়ে সেসব শুনতে পাই আমি। মধ্যাহ্নের নির্জন ভাষা
পাঠ করে যারা যায় টোল কিংবা গুরুগৃহে আমি তাদের দলে ছিলাম না কখনো।
আমার ধর্ম ছিল ক্রান্তিকালের ইস্কুলে বইখাতা জমা রেখে বারবার হারিয়ে যাওয়া।