মহামারি করোনায় বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা চলছে। কানাডায়ও এর ব্যতিক্রম হচ্ছে না। ভালো ভাবে এর প্রভাব পড়েছে। দেশটিতে মে মাসে প্রায় ৬৮ হাজার মানুষ চাকরি হারিয়েছেন। বিষেশজ্ঞদের মতে, প্রত্যাশা অনুসারে বেকারত্বের হার ৮.২ শতাংশে পৌঁছেছে। দেশটিতে করোনার জন্য চলমান বিধিণিষেধের কারণে এমনটা হয়েছে।
শুক্রবার (৪ জুন) কানাডার পরিসংখ্যান বিভাগ এ তথ্য জানিয়েছে। বিএমও ক্যাপিটাল মার্কেটসের প্রধান অর্থনীতিবিদ ডগ পোর্টার বলেছেন, প্রায় সমস্ত পতন খণ্ডকালীন চাকরিগুলোতে ছিল। বিষয়টি সত্যিই হতাশাজনক।
পূর্ণকালীন কর্মসংস্থান ১৩ হাজার ৮০০ কমেছে এবং খণ্ডকালীন কর্মসংস্থান ৫৪ হাজার ২০০-তে পড়েছে। পণ্য খাতে কর্মসংস্থান ৪১ হাজার ৬০০তে হ্রাস পেয়েছে, এটি ২০২০ সালের এপ্রিল থেকে নির্মাণ ও উৎপাদন কাজের হ্রাসের পরে প্রথম হ্রাস পেয়েছে। সেবা খাত কর্মসংস্থান ২১ হাজার ৮০০-তে কাজ কমেছে।
দীর্ঘমেয়াদি বেকারত্ব মে মাসে তুলনামূলকভাবে স্থিতিশীল ছিল, অন্যদিকে মূল-বয়সের নারীদের অংশগ্রহণের হার মে মাসে টানা দ্বিতীয় মাসে হ্রাস পেয়েছে। স্কুলগুলো বন্ধ হয়ে গেলে নারীদের শ্রমশক্তি থেকে সরে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
কলামিস্ট, উন্নয়ন গবেষক ও সমাজতাত্ত্বিক বিশ্লেষক মো. মাহমুদ হাসান বলেন, জীবন-জীবিকার মানোন্নয়ন আর দীর্ঘ শিক্ষা বিরতি সামাজিক ও মনোজাগতিক ক্ষেত্রে যে প্রতিকূল পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে তা থেকে উত্তরণে সঠিক পথেই এগিয়ে যাচ্ছে জাস্টিন ট্রুডোর সরকার।
বিশিষ্ট কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব এবং রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী শংকর বলেন, মহামারির এই সময়ে বেঁচে থাকাটাই এখন প্রথম এবং প্রধান কাজ। বেঁচে থাকলে কর্মসংস্থান আবার ফিরে আসবে। করোনাকালীন তিনি কানাডার জাস্টিন ট্রুডো সরকারের নেওয়া প্রতিটি পদক্ষেপেরই ভূয়সি প্রশংসা করেন।
উল্লেখ্য, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো করোনা শুরুর প্রথম থেকেই দেশটির নাগরিকদের সুস্বাস্থ্য ও অর্থনৈতিক অবস্থা স্থিতিশীল রাখতে বিভিন্ন প্রণোদনার ব্যবস্থা করেছেন যাতে করে নাগরিকদের সুস্বাস্থ্য অব্যাহত।