-হাসান মাহমুদ
“মি: স্পীকার! আজ আমি আপনার সম্মুখে দন্ডায়মান হয়ে ইন্ডিয়ান আবাসিক স্কুলের তখনকার ছাত্রছাত্রীদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি” -ক্যানাডার সংসদে প্রধানমন্ত্রী স্টিফেন হারপার, ১১ই জুন ২০০৮।
১৮৭০ সালের দিকে ফরাসি ও ব্রিটিশ শক্তি ক্যানাডা দখল করার পর আদিবাসী সব শিশুকে আবাসিক স্কুলের হোস্টেলে বন্দী করে তারা নিজেদের বানানো সিলেবাস ছাড়া অন্য সব শিক্ষা অবৈধ ঘোষণা করে। ইংরেজীতে ছাড়া নিজেদের ভাষায় কথা বলার অধিকার পর্যন্ত বাচ্চাদের ছিলনা। সিলেবাস বদলের মাধ্যমে সাংস্কৃতিক গণহত্যার সেই অবর্ণনীয় অত্যাচারের বিবরণ দিয়েছেন হ্যালিফ্যাক্সের গবেষক ফারহানা নাজ শম্পা – “আদিবাসী জনগোষ্ঠীর জন্য আবাসিক স্কুল : কানাডার ইতিহাসে কালিমাময় এক অধ্যায়” – প্রথম আলো ২৫ ডিসেম্বর ২০১৮।
একটা জাতিকে তার ইতিহাস ঐতিহ্য ভুলিয়ে দেয়া তাকে খুন করার সমান, তার চেয়েও আত্মঘাতী হল বাচ্চাদেরকে উল্টো ইতিহাস শেখানো। ওই স্কুলগুলোর অধ্যক্ষেরা কোনো স্যুট-টাই পড়া ‘ভদ্দন্নোক’ ছিলেন না – তাঁরা ছিলেন ধর্মগুরু পাদ্রী। গণহত্যার মধ্যে হিংস্র ধর্মগুরুরা স্বর্গের সিঁড়ি খোঁজেন, এ থেকে শান্তিময় ধর্মগুরুরা জাতিকে রক্ষা করতে পারেন। আরেক উদাহরণ পাকিস্তান যার সাথে আমাদের রাজনৈতিক-ধর্মনৈতিক অতীত বর্তমান প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে জড়িত। আজ হাতে গোনা কিছু পাকিস্তানী ছাড়া সবাই মনেপ্রাণে বিশ্বাস করে:
উদাহরণ ১ – একাত্তর আমাদের স্বাধীনতার মুক্তিযুদ্ধ ছিলনা, ওটা ছিল ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধ।
উদাহরণ ২ – মুসলিম লীগের নেতৃত্বে ভারতের মুসলিমেরা ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন করে পাকিস্তান সৃষ্টি করেছে।
দুটোই ডাঁহা মিথ্যে। এমন উল্টাপুরাণ তোগলকি কান্ড, পুরো জাতিকে ইতিহাস থেকে বিচ্ছিন্ন করে তার মুন্ড কিভাবে উল্টোদিকে ঘুরিয়ে দেয়া সম্ভব হল? এই কারণেই জাতটা ইতিহাস থেকে কোনো শিক্ষাই নেবার সুযোগ পায়নি, এখনো মৌলবাদের খপ্পরে রক্তাক্ত হচ্ছে আর বেলুচিস্তানে আমাদের মতোই শোষিত স্বাধীনতাকামী বেলুচদের ওপরে ক্রমাগত গণহত্যা করছে। আর আমরা? আমরা ১৭৫৭ সালের ২৩শে জুন পলাশীর লক্ষবাগ আমবাগানের যুদ্ধে মীরজাফরের ইতিহাস জানি বলেই পঁচাত্তরের মুশতাককে চিনতে আমাদের সময় লাগে এক সেকেন্ড বা তারও কম।
জাতিকে ইতিহাস ভোলানোর অব্যর্থ অস্ত্র হল শিক্ষা-সিলেবাস। বাচ্চারা তাদের প্রাইমারি থেকে সর্বোচ্চ শিক্ষাঙ্গন পর্যন্ত যদি একই তথ্য শেখে, সেটা আবার পিতা-মাতা, শিক্ষক, টিভি-রেডিও, ম্যাগাজিন-খবরের কাগজ, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় নেতাদের সভা সমিতির বক্তৃতায় ক্রমাগত শুনে বড় হয় তখন তাদের কাছে সেটাই মোক্ষ সত্য হয়ে দাঁড়ায়, এর বাইরে কিছু তারা চিন্তাও করতে পারেনা। কি শিখেছে পাকিস্তানীরা ছোটবেলা থেকে?
উদাহরণ ১ – মুক্তিযুদ্ধের ওপরে তরুণ বলিষ্ঠ গবেষক আরিফ রহমানের “ত্রিশ লক্ষ শহীদ : বাহুল্য নাকি বাস্তবতা” বইয়ের ‘কেন আজও পাকিস্তানকে ঘৃণা করতে হয়’ – অধ্যায়ে দেখানো হয়েছে পাকিস্তানি শিশুরা আমাদের মুক্তিযুদ্ধকে কীভাবে পড়ছে – সূত্র – আজাদী, ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৮। (সংক্ষিপ্ত উদ্ধৃতি):
“১৯৬৫ সালের যুদ্ধের পর ভারত পূর্ব পাকিস্তানের হিন্দুদের সহযোগিতায় সেখানকার অধিবাসীদের পশ্চিম পাকিস্তানের জনগণের বিরুদ্ধে খেপিয়ে তুলে..১৯৭১ সালের ডিসেম্বর মাসে পূর্ব পাকিস্তান আক্রমণ করে। ভারতের ষড়যন্ত্রে পূর্ব পাকিস্তান পৃথক হয়ে যায়…পূর্ব পাকিস্তানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে বহু সংখ্যক হিন্দু শিক্ষক ছিলেন..হিন্দু শিক্ষকেরা বাঙালিদের মনে পশ্চিম পাকিস্তানের জনগণের বিরুদ্ধে নেতিবাচক মনোভাব তৈরি করে…ভারত তাদের স্বার্থ বাস্তবায়নে এই হিন্দুদেরকে ব্যবহার করে…অনেক হিন্দুই ভারতের চর হিসেবে কাজ করে…মার্শাল ল কর্তৃপক্ষ পূর্ব পাকিস্তানে সামরিক অভিযানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে…ডিসেম্বর ৩, ১৯৭১ ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ শুরু হয়। স্থানীয় জনগণের সমর্থনের অভাব, সামরিকবাহিনী ও সরঞ্জামাদি সরবরাহের দুর্বল ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি কারণে পাকিস্তানের সৈন্যরা ভারতীয় বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণে বাধ্য হয় – উদ্ধৃতি শেষ।
২য় উদাহরণটাও মিথ্যে। ১৯৪৬ সালে ভারতে “ইনফরম্যাল রেফারেগ্ডাম” নির্বাচন হয়েছিল। র্অথাৎ মুসলিম লীগ যদি মুসলিম-সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চলে জেতে তাহলে প্রমাণ হবে ভারতীয় মুসলিমেরা পাকিস্তান চায়। সে নির্বাচনে মুসলিম লীগ পাঞ্জাবে ও উত্তর পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশে হেরে গিয়েছিল, শুধু সিন্ধু প্রদেশে সমানে সমান ভোট পেয়েছিল। সাংবিধানিক ক্ষমতায় স্পিকার তাঁর ভোটটা মুসলিম লীগকে দিলে তবেই সেখানে সে সরকার গঠন করতে পেরেছিল। আর বাংলায় মুসলিম লীগ ভ‚মিধ্বস জিতে সরকার গঠন করেছিল। অর্থাৎ পাকিস্তানের বেশীর ভাগ জনগণই পাকিস্তান চায়নি, পাকিস্তান এনেছিলাম আমরাই। অথচ ওখানকার বাচ্চারা সিলেবাসে উল্টো ইতিহাস শিখে বড়ো হয়েছে।
সিলেবাস বাংলাদেশেও বদলানো হয়েছে। ধর্মীয় শিক্ষার জন্য দেশে অসংখ্য মাদ্রাসা থাকার পরেও যাঁরা সাধারণ শিক্ষা-সিলেবাসে ধর্ম ঢুকিয়ে দিয়েছেন তাঁরা ভুলে যান যে বাংলাদেশের বাইরে বিশাল বিস্তীর্ণ দুনিয়া আছে, সেখানে এক ধর্মের উগ্রতা অন্য ধর্মের উগ্রতাকে শক্তিশালী করে। তাঁরা খেয়াল করেননি যে তাঁদেরকে অনুসরণ করে ভারত ও পশ্চিমা বিশ্ব সিলেবাসে বেদ-পুরান-উপনিষদ-বাইবেল ঢুকিয়ে দিলে মুসলিম ছাত্রছাত্রীদের কি ভয়ানক অবস্থা হবে। পাকিস্তানের স্কুল-কলেজে বাচ্চাদের ওপরে রাষ্ট্রের এই হিংস্রতা বহু আগে থেকেই চলছে।
বন্যেরা বনে সুন্দর শিশুরা মাতৃক্রোড়ে যদি সত্য হয় তাহলে যে প্রকৃতির শিক্ষাঙ্গন সেই প্রকৃতির সিলেবাস হওয়াই দরকার। আমাদের সিলেবাসের ঐতিহ্য ছিল সরকারী সিলেবাসে অসা¤প্রদায়িক শিক্ষা ও ধর্মীয় শিক্ষাঙ্গনের সিলেবাসে ধর্মীয় শিক্ষা। পরে শুরু হয় সিলেবাসে সা¤প্রদায়িক অপশক্তির অনুপ্রবেশের অপচেষ্টা। সেই আটচল্লিশ বাহান্নতেই আরবী অক্ষরে বাংলা লেখার মতো উদ্ভট ও উৎকট চেষ্টা হয়েছিল, সম্ভবত: সরকারী অর্থায়নও করা হয়েছিল। ফ্রন্টাল লাইনে সেই অপচেষ্টা বিফল হবার পর সেই একই উদ্দেশ্যে এখন সাইড লাইনে শুরু হয়েছে নুতন আক্রমণ। “অ”-তে ‘অজগর’ এগুলো উবে গিয়ে হয়েছে – উদ্ধৃতি:- “অ”-তে ‘অজু করে পাক হও’, “আ”-তে ‘আজান শুনে জামাতে যাও’, “ই”-তে ‘ইসলাম চায় শান্তি’, “ঈ”-তে ‘ঈমান বাড়ায় শক্তি’, “এ”-তে ‘এক হও মুসলমান’, “ঐ”-তে ‘ঐশী বাণী আল-কোরআন’…‘গ’-তে ‘গান শোনা ভালো নয়’…‘জেড’ বর্ণ দিয়ে শব্দ গঠন করা হয়েছে ‘জু’ আর বাক্য গঠনে লেখা হয়েছে, ‘চিড়িয়াখানাতে আল্লাহর কুদরত দেখো’ ৫০টি বর্ণের মধ্যে ২৯টি দিয়ে ধর্মীয় বাক্য গঠন করা হয়েছে। – কালের কণ্ঠ – কিন্ডারগার্টেনে কী পড়ানো হচ্ছে! ১৭ ফেব্রæয়ারী ২০১৯। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে দর্শন বিভাগের সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে আয়াতুল্লাহ খোমেনি, মাওলানা আবদুর রহিম এমনকি মাওলানা মওদুদীর জীবনী ও দর্শনচিন্তা। অথচ মওদুদীর চিন্তাধারা পাকিস্তানে ধর্মীয় ফ্যাসাদ সৃষ্টি করে খুনোখুনির ঘটনা ঘটিয়েছিল এবং এ চিন্তাধারায় উদ্বুদ্ধ হয়েই একশ্রেণীর তথাকথিত ধার্মিক আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের বিরোধিতা করে হানাদার বাহিনীর দালালিতে লিপ্ত হয়েছিল। এ দেশের আল বদর, আল শামস ও রাজাকার বাহিনীর উৎপত্তি মওদুদীর চিন্তাধারারই ফসল – সমকাল সম্পাদকীয়, ২৪ জুন ২০০৮।
সিলেবাস পরিবর্তনের প্রভাব অত্যন্ত গভীর ও সুদূরপ্রসারী। ত্রিশ চল্লিশ বছর পরে এর প্রভাব অনুভত হবে যখন আমাদের বাচ্চারা বড়ো হয়ে দেশ-জাতির হাল ধরবে। বিভিন্ন ভিডিওতে দেখা যায় জাতির ইতিহাস স্কুল সিলেবাসে ঠিকমত অন্তর্ভুক্ত না করার ফলে তরুণ প্রজন্ম ইতোমধ্যেই ভয়াবহ জগাখিচুড়ী করে ফেলেছে শহীদ দিবস, স্বাধীনতা দিবস আর বিজয় দিবসের মধ্যে। অলক্ষ্যে অট্টহাসি হাসছে বাংলাদেশের নিয়তি, ধ্বনিত হচ্ছে ইঙ্গিত – আমরাও কি অসা¤প্রদায়িকতার শেকড়চ্যুত হয়ে পাকিস্তান মার্কা ভবিষ্যতের দিকে হাঁটছি?
দেশে এই সাংস্কৃতিক গণহত্যার বিরুদ্ধে আজ সোচ্চার অনেক মেধা, চিন্তা, কণ্ঠ ও লেখা, এর মধ্যে উঠে এসেছে মৌলিক এক অনন্য প্রতিরোধ। কলমের বিরুদ্ধে চাপাতির হিংস্রতা নয়, কলমের বিরুদ্ধে কলম এবং বইয়ের বিরুদ্ধে বই। এ বইয়ের নাম “বর্ণে বর্ণে বাঙালী”। ২৪ পৃষ্ঠার এ বইতে প্রায় ৬০ জন বাঙালি মনিষীর মুখচ্ছবির সাথে রয়েছে ছড়া যাতে বাচ্চারা অক্ষরের সাথে সাথে আমাদের আলোকিত বাতিঘরদের সাথেও পরিচিত হয়, তাঁদের মতো হবার উৎসাহ পায়।
“অ”- অতুলপ্রসাদ সেন:
বাংলা ভাষার গুণী শিল্পী, গানের মানুষ তিনি,
দেশের গান মানুষের গান গজল লিখেছেন যিনি।
“আ”- আলতাফ মাহমুদ:
আলতাফ মাহমুদ গানের পাখী, দেশ রক্ষায় বীর,
ভাষা আন্দোলন বা মুক্তিযুদ্ধ, উন্নত তার শির।
“এ”- এস এম সুলতান
রঙ তুলিতে আঁকতেন ছবি, আঁকতেন দেশের মুখ,
বাংলাদেশের শিল্পী তিনি, গর্বে ভরে বুক।
“ঋ- ঋত্বিক ঘটক
বাঙালির পরম বন্ধু সিনেমা অন্ত:প্রাণ,
সিনেমার মাঝে গেয়ে গেছেন মানুষের জয়গান।
প্রকাশক রাকিবুল হাসানের ভাষায় – “যে বই শিশুকে তার শিক্ষাজীবনের সূচনায় ‘অজ’ বা ছাগল চেনাবে না, অজগরের ভয় দেখাবে না বা শিশুমনে ঢুকিয়ে দিবে না সা¤প্রদায়িকতা। এই বই শিশুদের পরিচয় ঘটাবে বাঙালি মনিষীদের সাথে। শিশুরা চিনবে কাজী নজরুল, লালন, ক্ষুদিরাম, সুলতান, মেঘনাথ সাহা প্রমুখকে। ওরা জানবে ভাষাশহীদ এবং বীরশ্রেষ্ঠদের সম্পর্কে। ওদের মনে তৈরি হবে অদম্য কৌতুহল এবং নানান প্রশ্ন। প্রশ্নের উত্তর খুঁজে খুঁজে ঘটবে শিশুর স্বতঃস্ফুর্ত আত্মবিকাশ”।
ডিসি বইমেলা ২০১৯ জুন ২২ ও ২৩শে আর্লিংটন-এর শেরাটন পেন্টাগণ সিটি হোটেলে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানের আয়োজক “আমরা বাঙ্গালি ফাউন্ডেশন” যৌথভাবে জার্মানির “বাংলাদেশ সেকু্যুলার ফাউন্ডেশন”-এর সাথে “বর্ণে বর্ণে বাঙ্গালী” বইয়ের লেখক শাহাদাত রাসেল ও প্রকাশক বুকল্যান্ড পাবলিকেশন-কে “অসা¤প্রদায়িক বাঙালি পদক” এবং সম্মাননা দিয়েছেন। এ বইতে বিভিন্ন অঙ্গনে আমাদের সামাজিক সাংস্কৃতিক আলোকিত নেতাদের ছবি ও সংশ্লিষ্ট ছড়া দিয়ে বাচ্চাদের অক্ষর-পরিচিতির পদ্ধতি দেয়া আছেযেমন “অ”-তে অতুল প্রসাদ সেন, “আ”-তে আলতাফ মাহমুদ ইত্যাদি। প্রখ্যাত লেখক ও মুক্তিযোদ্ধা ডঃ নুরুন নবী প্রাপকদের পক্ষে বই মেলার প্রধান সমন্বয়ক সামিনা আমিনের হাতে পদকটি তুলে দেন। বাংলার হিন্দু-মুসলিম-বৌদ্ধ-খ্রীষ্টান ও আদিবাসী সবাই মিলে জাতির আবহমান অসা¤প্রদায়িক চরিত্র গঠন করেছে যার অন্যতম ভিত্তি ছিল স্কুলের অসা¤প্রদায়িক সিলেবাস। সম্পৃতি বাংলাদেশে স্কুলের সিলেবাসে সেই অসাস্প্রদায়িক চরিত্রের ওপরে আঘাত এসেছে যা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধের সাথে সাংঘর্ষিক। ‘অসা¤প্রদায়িক বাঙালি পদক’ আমাদের মুক্তিযুদ্ধের শক্তিশালী মূল্যবোধ এবং একটি ধর্মনিরপেক্ষ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়েছে। “আমরা বাঙ্গালি ফাউন্ডেশন” এই পদকের ক্রেস্টের অর্থায়ন করেছে এবং “বাংলাদেশ সেকুলার ফাউন্ডেশন” একটি টোকেন অর্থ-সম্মানীর ব্যবস্থা করেছে।
হোক পথ দু:সহ, দুর্গম, ভয়াবহ – দু’এক পথিক পথ চলবেই,
বোধের বন্ধদ্বারে, নিকষ অন্ধকারে – বিদ্রোহী কিছু দীপ জ্বলবেই!!