মহামারি করোনার টিকাকে বিশ্বব্যাপী গণপণ্য হিসেবে ঘোষণার দাবি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, উন্নয়নশীল ও এলডিসিভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে যাদের সক্ষমতা রয়েছে তাদেরকে টিকা তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়া উচিত।
মঙ্গলবার (২২ জুন) কাতার ইকোনমিক ফোরামের ভাচুর্য়াল বৈঠকে দেওয়া ভিডিও বার্তায় তিনি এই সব কথা বলেন।
‘আগামীর জন্য নতুন দিগন্ত’ শীর্ষক স্লোগান নিয়ে সোমবার শুরু হওয়া তিন দিনব্যাপী সম্মেলনটিতে শতাধিক দেশের নেতা, কূটনীতিবিদ, শিক্ষাবিদ ও ব্যবসায়ীরা ভিডিও বার্তা দিচ্ছেন।
করোনা মহামারিকে বিশ্ব সংহতির জন্য লিটমাস টেস্ট হিসেবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘‘যেহেতু মহামারিতে ইতোমধ্যে লাখ লাখ মানুষ মৃত্যুবরণ করেছে এবং অর্থনীতিকে ক্ষতবিক্ষত করেছে তাই ‘এজেন্ডা ২০৩০’,‘প্যারিস চুক্তি’ এবং ‘আদ্দিস আবাবা অ্যাকশন এজেন্ডা’ সংকট উত্তোরণের ব্লু প্রিন্ট হিসেবে কাজ করতে পারে।’’
তিনি বলেন, ‘মহামারির পরে টেকসই ও ন্যায়সঙ্গত ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে অংশীদারিত্বমূলক সমৃদ্ধির জন্য একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, টেকসই এবং সামগ্রিক পুনরুদ্ধার পরিকল্পনা প্রয়োজন। আমাদের এখন সামগ্রিক বৈশ্বিক প্রচেষ্টা প্রয়োজন।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার ভাষণে, আন্তর্জাতিক সমৃদ্ধির জন্য বাণিজ্য, ব্যবসা ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণের মাধ্যমে কোভিড -১৯ মহামারির প্রভাব নিরসনে অবিলম্বে সম্মিলিত ও সামগ্রিক পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন। প্যারিস চুক্তির লক্ষ্য পূরণের জন্য উচ্চাভিলাষী জলবায়ু পদক্ষেপ গ্রহণের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বিশ্বব্যাপী বাণিজ্য ও রপ্তানি আয়ের পুনরুজ্জীবন ঘটাতে লক্ষ্যভিত্তিক আন্তর্জাতিক সহায়তার পরামর্শ দিয়েছেন।
মহামারির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বাংলাদেশের ব্যবস্থাগুলো সম্পর্কে তিনি জানান, সরকার জীবন ও জীবিকার মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখার চেষ্টা করছে। তার সরকার এখন পর্যন্ত ১৫ দশমিক ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয়ে বিভিন্ন প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মহামারির মধ্যেও ২০২০-২০২১ সালে দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ১ শতাংশে পৌঁছেছে, যা বিশ্বের অন্যতম সর্বোচ্চ।’
তথ্য: বাসস