মানবজাতির কৌতুহল জাগাচ্ছে মঙ্গল গ্রহ বহু শতাব্দি ধরে। রাতের আকাশের লাল এই বিন্দুটি অনেক সংস্কৃতির কল্পনায় নানা রঙ চড়িয়েছে।
কারো কারো কাছে এটা যুদ্ধের দেবতা, আবার কারো কাছে রাশিফলের জন্য সমস্যা। তবে ভালো-মন্দ যাই হোক না কেন, আমাদের আলোচনায় কোনো না কোনোভাবে মঙ্গল গ্রহের বিষয়টি চলে আসে।
প্রথমবারের মতো, পৃথিবীবাসী মঙ্গল গ্রহের অভ্যন্তরে উঁকি দিতে সক্ষম হয়েছে। আমরা জানতে পেরেছি, গ্রহটির একটি তরল কেন্দ্রস্থল, একটি শক্ত আবরণী এবং পৃথিবীর মতো তবে কিছুটা আলাদা ভূত্বক আছে।
নাসার মহাকাশযান ইনসাইট ল্যান্ডার মঙ্গলের উপরিভাগের তথ্য বিশ্লেষণ করেছে। এটি সাত শতাধিক ‘মার্সকোয়েক’ (ভূমিকম্প) রেকর্ড করেছে। এগুলোর মধ্যে ৩৫টি এতোটাই শক্তিশালী ছিল যে, এগুলো নিয়ে আরও বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। মঙ্গলের অভ্যন্তরে এই তরঙ্গের মাত্রা বিশ্লেষণ করে বিজ্ঞানীরা লাল গ্রহের অভ্যন্তর সম্পর্কে ধারণা পাচ্ছেন।
বিজ্ঞানীরা অনুমান করছেন যে, মঙ্গলের ভূত্বক ২৪ থেকে ৭২ কিলোমিটার পুরু এবং এর কমপক্ষে দুটি স্তর রয়েছে। এর ম্যান্টলটি একক স্তরের শিলা দিয়ে গঠিত এবং ৪০০ থেকে ৬০০ কিলোমিটার পুরু। এর পরে আসছে কেন্দ্রস্থল। এটির স্তর অনেক বড়, যার ব্যাসার্ধ এক হাজার ৮৩০ কিলোমিটার। কেন্দ্রস্থলটি তরল।
আগে অবশ্য ধারণা ছিল, মঙ্গলে কোনো ভূতাত্বিক কর্মকাণ্ড নেই। এটা যে পুরোপুরি ভুল তা ২০১৯ সালে নাসার মহাকাশযান ইনসাইট ল্যান্ডার জানিয়ে দিয়েছে।