অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার উৎপাদন করা করোনা টিকা কোভিশিল্ড মহামারি এ রোগের মৃত্যুঝুঁকি ৯৮ শতাংশ কমাতে সক্ষম। এই টিকার ডোজ যারা সম্পূর্ণ করেছেন, তারা এ রোগের সংক্রমণ থেকেও ৯৩ শতাংশ সুরক্ষা ভোগ করেন।
ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন চিকিৎসা সেবা সংস্থা আর্মড ফোর্সেস মেডিক্যাল সার্ভিসেস (এএফএমএস)- এর সাম্প্রতিক এক গবেষণায় এমন তথ্য উঠে এসেছে বলে মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ভারতে কোভিশিল্ড টিকার ডোজ সম্পূর্ণ করা ১৫ লাখ ৯৫ হাজার স্বাস্থ্যকর্মী ও সম্মুখসারির করোনাযোদ্ধাদের শারীরিক অবস্থার তথ্য বিশ্লেষণ করে এটি জানা গেছে।
চলতি বছর ১৬ জানুয়ারি থেকে গণটিকাদান কর্মসূচি শুরু করে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। টিকাদানের প্রথম পর্যায়ে স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিশসহ সম্মুখসারির করোনাযোদ্ধাদের প্রাধান্য দেওয়া হয়েছিল।
এএফএমএসের গবেষণায় যে ১৫ লাখ ৯৫ হাজার স্বাস্থ্যকর্মী ও সম্মুখসারির করোনাযোদ্ধাদের বেছে নেওয়া হয়েছিল, তারা সবাই টিকাদান কর্মসূচির প্রথম পর্যায়েই টিকার ডোজ সম্পূর্ণ করেছিলেন।
মঙ্গলবারের বিবৃতিতে সাম্প্রতিক এই গবেষণাকে করোনা টিকার কার্যকারিতা বিষয়ক বিশ্বের সবচেয়ে বড় গবেষণা বা বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধান দাবি করে ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘এএফএমএসের গবেষণা অনুযায়ী, কোভিশিল্ড টিকার দুই ডোজ করোনায় মৃত্যুঝুঁকি কমায় ৯৮ শতাংশ এবং আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমায় ৯৩ শতাংশ। করোনা টিকার কার্যকারিতা বিষয়ে এটি সম্ভবত এখন পর্যন্ত বিশ্বের সবচেয়ে বড় বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধান।’
এএফএমএস এর মহাপরিচালক ভাইস অ্যাডমিরাল রজত দত্ত ভারতের বার্তা সংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন, গণটিকাদান কর্মসূচি শুরু হওয়ার পর এই ১৫ লাখ ৯৫ হাজার স্বাস্থ্যকর্মী ও সম্মুখসারির যোদ্ধাদের কোভিশিল্ডের প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার সময় এবং টিকা নেওয়ার পর তাদের শারীরিক অবস্থাবিষয়ক গোয়েন্দা তথ্যাবলী খতিয়ে দেখে এই সিদ্ধান্তে এসেছে এএফএমএস।
তবে মঙ্গলবারের বিবৃতিতে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় স্বীকার করেছে, বৃদ্ধ ও অপ্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে এই টিকার কার্যকারিতা কতখানি- সে বিষয়ে গবেষণায় যথেষ্ট মনযোগ দেওয়া হয়নি।