ভেন্টিলেটর মেশিনের হুসহুস শব্দ ও মনিটেরের বিপবিপ আওয়াজ ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে থাকা গর্ভবতী কোভিড-১৯ রোগীটি বেঁচে আছে এখনও তারই ইঙ্গিত দিচ্ছে। ওই বেডের একটু দূরেই আরেক নারীকে অক্সিজেন দেওয়া হচ্ছে। করোনাভাইরাসে সংক্রমণের পর ওই নারী সন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন। দুই রোগীকেই বাঁচাতে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন চিকিৎসকরা। বলছি সেনেগালের রাজধানী দাকারের দালাল জাম হাসপাতালের কথা।
চিত্রটি শুধু এই দুজনের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। করোনা মহামারির তৃতীয় ঢেউয়ে থাকা সেনেগালের হাসপাতালগুলোর সার্বিক চিত্রের প্রতিচ্ছবি এটি। অতিরিক্ত রোগীদের চাপ সামাল দিতে এক দিকে হিমশিম খেতে হচ্ছে চিকিৎসকদের, আরেকদিকে প্রতিদিন হাসপাতাল থেকে আসা মৃতদেহ দাফনের চাপ সামাল দিতে হচ্ছে কবরস্থানের কর্মীদের।
খাদি ফল নামে এক চিকিৎসক বলেন, ‘এক জন ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট ছেড়ে যাওয়া মাত্রই, চাই সেটা ছাড় কিংবা বেদানাদায়ক মৃত্যুর মাধ্যমেই হোক, আমাদের চিকিৎসা কেন্দ্র আরেক রোগীকে পাঠিয়ে দিচ্ছে। আমরা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত।’
গত জুলাইয়ে সেনেগালে প্রায় ৪৪ হাজার করোনা রোগী শনাক্ত হয় এবং এক হাজার ১৬৬ জন মারা যায়।
দাকারের হাসপাতালটির অদূরেই লাশ দাফনের জন্য সারারাত কাজ করতে হচ্ছে একটি ক্যাথলিক কবরস্থানের কর্মীদের। গোরস্থানটির এক পাশ পূর্ণ হয়েছে নতুন কবর দিয়ে। এর মধ্যেই কবরের জন্য নতুন জায়গা প্রস্তুত করতে হচ্ছে কর্মীদের।
ইয়োফ জেলার মুসলিম কবরস্থানের ব্যবস্থাপক ইব্রাহিমা দিয়াসি জানান, তাদেরকে প্রতিদিন গড়ে ৩০টি করে কবর খুঁড়তে হচ্ছে। অথচ মহামারির আগে এই সংখ্যা সর্বোচ্চ ১০ ছিল।