বর্তমানে করোনার মূল ধরনের তুলনায় নতুন ধরন বা ভ্যারিয়েন্টগুলো পুরো বিশ্বের দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে ভাইরাসটির আলফা, বিটা, ডেল্টা, গামা সহ আরো কিছু নতুন ভ্যারিয়েন্ট মারাত্মক সংক্রামক রূপে তাণ্ডব চালাচ্ছে। এদিকে ভারতে এবার করোনার আরেক ভ্যারিয়েন্ট ‘ইটা’ শনাক্ত হয়েছে। বাংলাদেশেও সম্প্রতি এই ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত একাধিক রোগী পাওয়া গেছে।
ইটা ভ্যারিয়েন্ট কী?
করোনার যুক্তরাজ্যের ভ্যারিয়েন্ট ‘আলফা’, ব্রাজিলের ভ্যারিয়েন্ট ‘গামা’, ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ‘ডেল্টা’, দক্ষিণ আফ্রিকার ভ্যারিয়েন্ট ‘বিটা’ এবং নাইজেরিয়ার ভ্যারিয়েন্ট ‘ইটা’ নামে পরিচিত। এছাড়া নানা দেশে এপসিলন, জিটা, লাম্বডা সহ আরো নানা ভ্যারিয়েন্ট দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। করোনার ইটা অর্থাৎ নাইজেরিয়ার ভ্যারিয়েন্টের বৈজ্ঞানিক নাম বি.১.৫২৫। এটি গামা, জিটা এবং বিটা ভ্যারিয়েন্টের মতো একই মিউটেশন ই-৪৮৪কে বহন করে। তবে আলফা, বিটা এবং গামা থেকে ইটা ভ্যারিয়েন্ট ভিন্ন, এটি এন৫১০ওয়াই মিউটেশন বহন করে না।
গবেষকদের মতে আলফা ভ্যারিয়েন্ট, এন৪৩৯কে ভ্যারিয়েন্ট (বি.১.১৪১ এবং বি.১.২৫৮) এবং ওয়াই৪৫৩এফ ভ্যারিয়েন্টে প্রাপ্ত হিস্টিডিন এবং ভ্যালিন অ্যামাইনো এসিডের ঘটনা ইটা ভ্যারিয়েন্টেও একইরকম।
ইটা ভ্যারিয়েন্ট কতটা উদ্বেগজনক?
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এখনো পর্যন্ত করোনার ইটা ভ্যারিয়েন্টকে ‘ভ্যারিয়েন্ট অব কনসার্ন’ হিসেবে ঘোষণা করেনি। বিজ্ঞানীদের কাছে এটি ‘ভ্যারিয়েন্ট অব ইন্টারেস্ট’ হিসেবেই রয়েছে। করোনার অন্য সকল ভ্যারিয়েন্টগুলোর তুলনায় ইটা ভ্যারিয়েন্ট আলাদা, কারণ এটি ই৪৮৪কে এবং এফ৮৮৮এল দুটি মিউটেশনই বহন করে। অর্থাৎ এটি ঝুঁকি সৃষ্টি করতে পারে।
গত বছরের ডিসেম্বরে করোনার এই ভ্যারিয়েন্ট প্রথম নাইজেরিয়াতে শনাক্ত হয়। এরপর তা যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স এবং অন্যান্য দেশে ছড়িয়ে পড়ে। সারা বিশ্বে করোনার ইটা ধরন ৬০টি দেশে ছড়িয়েছে বলে জানা গেছে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, করোনার এই ধরনটির ঝুঁকি নিয়ে তারা গবেষণা করছেন।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়েছে, বর্তমানে এই ভ্যারিয়েন্টের প্রাদুর্ভাব করোনার অন্যান্য উচ্চ সংক্রামক ও মারাত্মক রূপের ভ্যারিয়েন্টগুলোর মতো নয়।