মিয়ানমারের সেনাবাহিনীতে নতুন নিয়োগের জন্য প্রার্থী সঙ্কটে ভুগছে। শনিবার (৪ সেপ্টেম্বর) দেশটির সংবাদমাধ্যম ইরাবতি এমন তথ্য জানিয়েছে।
সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, গত ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচিত সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতা দখল করে সেনাবাহিনী। এরপর বাহিনী থেকে পালিয়ে যায় দেড় হাজারের বেশি সদস্য। এদের মধ্যে কর্মকর্তা আছেন শতাধিক।
প্রথম দফায় গত আগস্টে সেনা সদস্য নিয়োগের সময় বাড়িয়েছিল সামরিক বাহিনী। এরপার বৃহস্পতিবার দ্বিতীয়বারের মতো এই সময় বাড়ানোর নোটিস দেওয়া হয়।
নিয়োগ প্রক্রিয়ার বিষয়টি জানেন এমন এক সাবেক ক্যাপ্টেন জানিয়েছেন, দেশের তিন মিলিটারি একাডেমিতে নিয়োগের জন্য প্রায় ১০০টি আবেদন পাওয়া গেছে। এদের অধিকাংশই সেনা পরিবারের সদস্য। এ কারণে নিয়োগের সময় বাড়ানো হয়েছে।
ক্যাপ্টেন লিন হতেত অং জানান, অভ্যুত্থানের আগে প্রতি বছর ডিফেন্স সার্ভিস একাডেমি, ডিফেন্স সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলোজি একাডেমি এবং ডিফেন্স সার্ভিসেস মেডিকেল একাডেমির প্রত্যেকটিতে ১২ হাজার করে আবেদন জমা পড়তো। এদের মধ্যে মাত্র ১০ শতাংশ নিয়োগ পেতো।
তিনি বলেন, ‘অনেক তরুণ সেনা কর্মকর্তা ও বীর হতে চাইতেন। কিন্তু এখন অভ্যুত্থানের কারণে কেউ সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে চাচ্ছে না।’