যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়ার ওপর ক্ষেপেছে দীর্ঘদিনের মিত্র ফ্রান্স। ক্ষোভের প্রকাশ হিসেবে ইতিহাসে প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়া থেকে নিজেদের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে পাঠিয়েছে দেশটি। একইসঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার উদ্দেশে প্রচ্ছন্ন হুমকি দিয়ে বলেছে, প্যারিসের কাছ থেকে সাবমেরিন নেওয়ার আদেশ বাতিল করে বিশাল কূটনৈতিক ভুল করেছে ক্যানবেরা।
বুধবার যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়া মিলে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে নতুন ত্রিপক্ষীয় নিরাপত্তা জোট ‘অকাস’ গঠন করেছে। মূলত দক্ষিণ চীন সাগরে বেইজিংয়ের ক্রমবর্ধমান প্রভাব ঠেকাতে নতুন এই নিরাপত্তা জোট গঠন করা হয়েছে। জোটের চুক্তি অনুযায়ী অস্ট্রেলিয়াকে পারমাণবিক শক্তিচালিত সাবমেরিন তৈরিতে প্রযুক্তি সরবরাহ করবে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। এর ফলে ২০১৬ সালে প্রচলিত সাবমেরিন বহর নির্মাণে ফ্রান্সের সঙ্গে ৪০ বিলিয়ন ডলারের যে চুক্তি করা হয়েছিল, অস্ট্রেলিয়া তা বাতিল করে দিয়েছে। আর এতেই ক্ষেপেছে ফ্রান্স।
ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী জিন ইভেস লি ড্রিয়ান চুক্তির সমালোচনা করে বলেছিলেন, এর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র ফ্রান্সের ‘পিঠে ছুরি মেরেছে।’
শুক্রবার রাষ্ট্রদূত জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাঁক্রনের অনুরোধে যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূতকে দেশে ডেকে পাঠানো হয়েছে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউ ইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, মিত্র দেশ থেকে রাষ্ট্রদূত ডেকে পাঠানোর ঘটনা খুবই বিরল। এবারই প্রথম যুক্তরাষ্ট্র থেকে রাষ্ট্রদূত ডেকে পাঠাল ফ্রান্স।
অস্ট্রেলিয়া থেকে দেশে ফেরার আগে ফরাসি রাষ্ট্রদূত জিন পিয়েরে থিবাউল্ট সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘এটা অনেক বড় ভুল, অংশীদারদের সঙ্গে অত্যন্ত অত্যন্ত বাজেভাবে বোঝাপড়া করা হয়েছে-কারণ এটা চুক্তি ছিল না, এটা ছিল অংশীদারিত্ব যা বিশ্বাস, পারস্পরিক বোঝাপড়া ও নিয়মানুবর্তিতার ভিত্তিতে গড়ে ওঠা।’