২০১২ সালের অক্টোবরে বিসিবি সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন নাজমুল হাসান পাপন। এক বছর পর আরেক অক্টোবরে নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন তিনি।
২০১৭ সালের নির্বাচনে আবার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বোর্ড সভাপতি হন। চলতি মাসে তার নেতৃত্বাধীন কমিটির মেয়াদ শেষ হচ্ছে। আরেকটি নির্বাচন যখন সামনে তখন ঘুরে ফিরে আবার আসছে একটিই নাম, নাজমুল হাসান পাপন। এর আগের নির্বাচনে সাবেক বোর্ড প্রধান সাবের হোসেন চৌধুরী নির্বাচনের আগ্রহ দেখালেও শেষ পর্যন্ত নিজেকে সরিয়ে নেন।
এবারের নির্বাচনে নাজমুল হাসান বাদে কারো নাম এখনও শোনা যায়নি। বরং স্রোত যেভাবে এগিয়েছে তাতে মনে হচ্ছে বিসিবির হট সিটে আরো দুই বছরের জন্য বসতে যাচ্ছেন নাজমুল হাসানই। সেটাও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়। তবে এবার তিনি চান ক্রিকেটের উন্নয়নে কেউ না কেউ এগিয়ে এসে তাকে চ্যালেঞ্জ করুক, নির্বাচন করুক। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে চান না তিনি।
দায়িত্ব ছাড়ার আগে বিসিবিতে আজ মঙ্গলবার শেষ পরিচালনা পরিষদের বৈঠকে বসেছিলেন নাজমুল হাসানরা। বৈঠক থেকে বেরিয়ে তিনি বলেন, ‘আমার কোনো প্যানেল নেই। যে খুশি নির্বাচনে দাঁড়াতে পারে। নির্বাচন হবে। যে জিতে আসতে পারে। ওখানে যদি আমি জিতে আসি তাহলে পরিচালক হয়ে আসব। এরপর আমার প্রথম আবেদন যেটা থাকবে, আমি সভাপতি হতে চাই না। কিন্তু আমি সমর্থন দেওয়ার জন্য আছি। এরপর কী হয় আমি জানি না। প্রত্যেকবার প্যানেল থাকে, প্যানেল দিলে আর কেউ দাঁড়ায় না। এখন কেউ বলতে পারবে না সে আমার প্রার্থী। এগুলো কিছু নাই। আমি আশা করব এবার নির্বাচনটা হোক। কেউ একজন আসুক।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমি যদি (বিসিবি) এখানে থাকি, একটা জিনিস মনে হচ্ছে আমি মারা যাওয়ার আগ পর্যন্ত এ পদটায় (সভাপতি) কেউ দাঁড়াবে না, এটা আমি মনে প্রাণে বিশ্বাস করি। বোর্ডে যারাই আসে তারা আমাকে চ্যালেঞ্জ জানাক। কেউ বলকু, সভাপতি হতে চাই, কেউ তো বলেও না! এটা ভালো দিক নয়। কারো জন্য কিছু আটকে থাকে না।’
জাতীয় দলের ক্রিকেটেও যেমন পাইপলাইন থাকে, বিসিবি সভাপতি চান নেতৃত্বেও পাইপলাইন তৈরি হোক। এজন্য নতুন কাউকে বিসিবি নির্বাচনে আসার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি, ‘আমাদের একটা পাইপলাইন থাকা উচিত যেখানে নতুন নেতৃত্ব আসবে। নেতৃত্ব দেওয়ার মতো লোক আছে, কিন্তু দুঃখজনক হলো কেউ আসতে চায় না। প্যানেল দিলে হয় কী, কেউ দাঁড়ায়ই না। বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় নির্বাচন হয়ে যাচ্ছে। নির্বাচন উন্মুক্ত থাকুক।’