কবি আসাদ চৌধুরী : নাগরিক সংবর্ধনা
এই শহরের যে কোন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে তাঁর উপস্থিতি একটি মাত্রা যোগ করে। পুরো অনুষ্ঠানে তিনি এক অনন্য ব্যক্তিত্ব হিসেবে পরিগণিত হোন৷ এ তাঁর সারাজীবনের অর্জন। কেননা, তিনি যখন আজকের আলোকিত অগ্রগামিতার কথা বলেন – ঠিক তখন তিনি আমাদেরকে স্মরণ করিয়ে দেন ‘৭১ সালে আমাদের অগুণতি আত্মার ত্যাগ। তিনি যখন এই বিদেশ বিভূঁইয়ে বাংলা ভাষায় সাহিত্য চর্চা ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড দেখে খুশি হোন, ঠিক তখনই তিনি আমাদেরকে স্মরণ করিয়ে দেন ‘৫২-র ভাষা আন্দোলনে অমর শহিদদের কথা৷
তাঁর মুখের উচ্চারিত একেকটি শব্দ মানুষের প্রতি মানুষের ভালোবাসার, সম্মানের জাদুমন্ত্র। সারা বাংলাদেশ সহ এই শহরকে তিনি শুধু দিয়েই চলেছেন। প্রেরণার বাণী দিয়ে, মানুষের প্রতি মানুষের সম্মান প্রদর্শনের নিজের আচরণ দিয়ে এবং জাদুর কথার উচ্চারণ দিয়ে। আমরা তাঁর কথা শোনে মুগ্ধ হই, এটাই তাঁর আনন্দ, তৃপ্তি। আমরা তাঁর কাছে ঋণী। নানাভাবে ঋণী। আনন্দ জাগানিয়া প্রেরণার এই ঋণ দেখা যায় না। তাঁর কাছে আমাদের এই ঋণ পরিশোধযোগ্য নয়। বস্তুত কোন কোন ঋণ পরিশোধ করার ভাবনাই পাপ। কেননা, যে ঋণ পরিশোধযোগ্য নয়; হৃদয় দিয়ে সেই ঋণ স্বীকার করাই একমাত্র উপায়। এই শহরে কবি আসাদ চৌধুরীও আমাদের কাছে তেমনি।
তবু, কবির কাছে আমরা আমাদের ভালোবাসা, শ্রদ্ধা প্রকাশ করবো। সামান্য সাধ্যের মধ্যেও কবিকে আমাদের সম্মান দেখাবো। কবিকে নিয়ে আনন্দে মেতে উঠবো। এই উপলক্ষে শহরের জনপ্রিয় আবৃত্তি শিল্পীরা কবির কবিতা আবৃত্তি করবেন। শহরের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পীরা কবিকে গান গেয়ে শোনাবেন। শহরের শিল্প ও সাহিত্য অঙ্গনের প্রথিতযশা ব্যক্তিবর্গ কবি সম্পর্কে তাঁদের মূল্যায়ন ও ভালোবাসা ব্যক্ত করবেন। আপনিও আসুন৷ কবি-সান্নিধ্যে আপনার একটি মুহূর্তকে স্মরণীয় করে রাখুন।
আপনাদের সবাইকে আন্তরিক আমন্ত্রণ।
কবি আসাদ চৌধুরী : নাগরিক সংবর্ধনা
তারিখ : ১৭ নভেম্বর, ২০১৯ [ রবিবার ]
স্থান : ৯ ডজ রোড, [ মেইনফ্লোর ] টরন্টো
সময় : বিকেল ঠিক চারটা