মাত্র চার সপ্তাহে মিয়ানমারের মুদ্রার মান ৬০ শতাংশ কমেছে। মুদ্রাস্ফিতির কারণে দেশটিতে খাদ্য ও জ্বালানির মূল্য বেড়েছে কয়েক গুণ।
বুধবার রয়টার্স এমন তথ্য জানিয়েছে।
ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের মিয়ানমার বিশেষজ্ঞ রিচার্ড হর্সে বলেন, ‘এটি জেনারেলদের বিহ্বল করবে কারণ তারা অর্থনীতির বিস্তৃত ব্যারোমিটার হিসাবে কায়াতের (মিয়ানমারের মুদ্রা) দর নিয়ে বেশ চিন্তিত, এবং এটি তার প্রতিফলন।’
রয়টার্স জানিয়েছে, আগস্টে মিয়ানমারের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ডলারের বিপরীতে কায়াতের দরপতন শূন্য দশমিক ৮ শতাংশের মধ্যে বেঁধে রাখার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু বিনিময় হার অনেক বেড়ে যাওয়ায় গত ১০ সেপ্টেম্বর সেই অবস্থান থেকে সরে আসে। ডলারের সংকট এতোটাই তীব্র যে কিছু মুদ্রা ব্যবসায়ী তাদের প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিয়েছেন।
ফেসবুকে এক মুদ্রা ব্যবসায়ী লিখেছেন, ‘এই মুহূর্তে মুদ্রার দরে অস্থিতিশীলতার কারণে…নর্দান ব্রিজ এক্সচেঞ্জে সার্ভিসের সব শাখা সাময়িকভাবে বন্ধ থাকবে।’
এখনও যারা তাদের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন তারা প্রতি ডলারের বিপরীতে দুই হাজার ৭০০ কায়াত চাইছেন। অথচ পহেলা সেপ্টেম্বরে এটি ছিল এক হাজার ৬৯৫ কায়াত এবং পহেলা ফেব্রুয়ারি ছিল এক হাজার ৩৯৫ কায়াত।
মঙ্গলবার বিশ্বব্যাংক তাদের পূর্বাভাসে জানিয়েছে, চলতি বছর করোনা মহামারির কারণে অর্থনীতি ১৮ শতাংশ সংকুচিত হবে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বেকারত্বের হার সবচেয়ে বেশি বাড়বে মিয়ানমারে। একইসঙ্গে দেশটিতে দরিদ্রতার হার বাড়বে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মিয়ানমারের এক ব্যংক কর্মকর্তা বলেছেন, ‘রাজনৈতিক পরিস্থিতি যতো খারাপ হবে মুদ্রার দরপতন ততোই ভয়াবহ হবে।’