কুমিল্লা নগরীর নানুয়ার দীঘির পাড়ের পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন শরিফ রাখার ঘটনার প্রধান সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে শনাক্ত করা হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
ওই ব্যক্তির নাম ইকবাল হোসেন (৩২)। ইকবাল নগরীর ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের দ্বিতীয় মুরাদপুর-লস্করপুকুর এলাকার নূর আলম ওরফে আলমের ছেলে। নূর আলম পেশায় মাছ ব্যবসায়ী। তাকে ধরতে জোর অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে ইকবাল হোসেনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। সন্দেহভাজন ব্যক্তি ইকবাল হোসেন মাদকাসক্ত ব্যক্তি। তবে তিনি কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত কি-না, তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
জেলা পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদও একজনকে চিহ্নিত করার বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন। তবে তিনি নাম প্রকাশ করেননি।
বুধবার (২০ অক্টোবর) সন্ধ্যায় পুলিশ সুপার বলেছেন, পুলিশের একাধিক সংস্থার তদন্তে এই ঘটনার অগ্রগতি হয়েছে। ওই সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানানো হবে।
এদিকে, ইকবালের সহযোগী হিসেবে এ ঘটনায় অন্তত তিন জনকে এরই মধ্যে আটক করা হয়েছে বলে জানা গেছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা মনে করছেন, ইকবাল গ্রেপ্তার হলেই এ ঘটনায় জড়িত সবাইকে চিহ্নিত করা সম্ভব হবে।
দেশে উৎসবমুখর পরিবেশে দুর্গাপূজা চলাকালে গত ১৩ অক্টোবর ভোরে কুমিল্লা নগরীর নানুয়ার দীঘির পাড়ের ওই পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন শরিফ পাওয়ার অভিযোগ উঠে। এ ঘটনার কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সহিংসতার সৃষ্টি হয়। সেদিনের ঘটনার পর গত এক সপ্তাহ ধরে ঢাকা ও কুমিল্লা পুলিশের কয়েকটি দল তদন্তে নামে। তারা ঘটনাস্থলের আশপাশের বিভিন্ন স্থান থেকে সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে বিশ্লেষণ করে। দীর্ঘ অনুসন্ধানের পর ইকবাল হোসেনকে নিশ্চিত করেন তারা।